রাঙ্গুনিয়ায় ইন্টারপাস করে তিনি এড মি চিকিৎসক, অবশেষে ধরা
রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি:মো. মোরশেদুর আলম নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘ ১০-১২বছর যাবত নিজেকে এববিবিএস ও এমডি চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে দেশের একাধিক স্থানে চিকিৎসা দিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন। নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিলেও মূলত এইচএসসি পাস করেছেন তিনি। অবশেষে ভূয়া এই ডাক্তারকে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) প্রশাসনের জালে ধরা পড়তে হয়েছে। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। পরে তাকে ১লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে ছেড়ে দিলেও তার চেম্বার পুরোপুরি সিলগালা করে দেওয়া হয়। প্রশাসনের এমন অভিযানের খবর পেয়ে ভূয়া ডিগ্রিধারী আরো কয়েকজন চিকিৎসক এসময় চেম্বার বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
জানা যায়, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজার এলাকাটি চিকিৎসা নগরী হিসেবে পরিচিত। এখানে ছোট বড় হাসপাতাল, ল্যাবসহ প্রায় ১’শতাধিক বেসরকারি ডাক্তারের চেম্বার রয়েছে। এরমধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বেশ কয়েকজন ভূয়া ডাক্তার ও ল্যাব অবৈধভাবে পরিচালনা করে আসছে। এছাড়াও অনেক ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ন ঔষধ বিক্রির অভিযোগও রয়েছে। এর ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার সকালে অভিযান পরিচালনা করে নাহার মেডিকেল হল থেকে হাতেনাতে মোরশেদুল আলম নামে ভূয়া এই মেডিসিন ও শিশু চিকিৎসককে ধরেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, মোরশেদুল আলম নামে ভূয়া ডিগ্রিধারী এই ডাক্তারকে এর আগেও দুইবার জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু তিনি বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করে আবারো চেম্বার শুরু করেন। এরমধ্যে তিনি টেকনাফ ও নোয়াপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় চেম্বার করতে গিয়ে জনগণের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন বলেও জানা যায়।
অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারজান হোসাইন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তৌহিদুল ইসলাম। অভিযানে সহযোগিতা করে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানা পুলিশের সদস্যরা। এসময় মোরশেদুল আলমসহ উপজেলার যেসকল ভূয়া চিকিৎসক রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের এমন অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তৌহিদুল ইসলাম জানান, চন্দ্রঘোনায় তিনটা ল্যাব, ফার্মেসী ও ডাক্তারদের চেম্বারে অভিযান পরিচালনা করে মোরশেদুল আলম নামে একজন ভূয়া চিকিৎসককে ১লাখ টাকা জরিমানা ও তার চেম্বারটি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এসময় অভিযানের খরব পেয়ে আরো কয়েকজন ভূয়া চিকিৎসক পালিয়ে যায়। হাসপাতাল, ল্যাব ও ডাক্তারদের একটা লিষ্ট করা হচ্ছে। ভূয়া বা অবৈধভাবে যারা সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে তাদের সবার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।