দুর্গাপূজার টানা ছুটিতে কমলগঞ্জে পর্যটকের ঢল
রাজন আবেদীন রাজু, স্টাফ রিপোর্টারঃ শারদীয় দুর্গাপূজার টানা ছুটিতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে পর্যটকের ঢল নেমেছে। একই সঙ্গে উপজেলার মাধবপুর লেক, বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ, জলকন্যা হামহাম জলপ্রপাত, গলফ মাঠ, ক্যামেলিয়া লেক ও চা-বাগান এলাকায় পর্যটকের ভিড় দেখা গেছে।
এদিকে গত চার দিনে লাউয়াছড়ায় পর্যটকের প্রবেশ টিকিট বাবদ সরকারের সাড়ে তিন লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।
লাউয়াছড়া টিকিট কাউন্টার সূত্রে জানা যায়, দুর্গাপূজার ছুটির প্রথম দিন বৃহস্পতিবার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ৪৩৬ জন পর্যটক প্রবেশ করে। এতে ওই দিন রাজস্ব আয় হয়েছে ৫০ হাজার ৪৮৫ টাকা। দ্বিতীয় দিন শুক্রবার লাউয়াছড়ায় ৮৬৭ জন পর্যটক প্রবেশ করে। এতে রাজস্ব আয় হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ১৪২ টাকা। গতকাল শনিবার বিকাল পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৩০০ জন পর্যটক প্রবেশ করায় দেড় লাখ টাকার বেশি রাজস্ব আয় হয়।
আজ বরিবার দুপুর পর্যন্ত লাউয়াছড়ায় পর্যটক প্রকাশ করেছেন ৬২১ জন, এতে রাজস্ব আয় হয়েছে ৭১ হাজার ৪১৫ টাকা, দিনশেষে পর্যটক আরো বাড়বে রাজস্ব ও আরও বাড়বে,
টানা চার দিনের ছুটির তিন দিনেই লাউয়াছড়ায় প্রবেশমূল্য বাবদ সাড়ে তিন লক্ষ টাকার বেশি রাজস্ব আয় হয়েছে।সরেজমিনে লাউয়াছড়ায় দেখা যায়, উদ্যানে পর্যটকের ঢল নেমেছে। পর্যটকরা বনের ভেতর প্রবেশ করে ঘোরাফেরা করছে।
অনেকে দলবেঁধে ঘুরছে, ছবি তুলছে। টিকিট কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইন ধরে টিকিট কেনা চলছে। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা অবস্থান করছে বনের ভেতরের রেললাইন ও বাইরের ফটক এলাকায়।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক উত্তম দেব, সিলেটের শফিক আহমেদ ও নেত্রকোণার অসিত দাশ বলেন, বৃষ্টি থাকায় প্রথম দিন কেউ বাইরে বের হইনি। শ্রীমঙ্গল শহরে রাতে সামান্য ঘোরাঘুরি করেছি। শনিবার ও আজ ববিরাব বৃষ্টি না থাকায় চলে এসেছি প্রকৃতির রূপকে উপভোগ করতে। এর আগেও আসা হয়েছে লাউয়াছড়া উদ্যানে। লাউয়াছড়ার টিকিট কালেক্টর শাহীন আহমেদ বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে লাউয়াছড়ায় তেমন পর্যটক আসেনি। তবে পূজার টানা ছুটিতে প্রচুর পর্যটকের আগমন হয়েছে। রবিবার (আজ) দুপুর পর্যন্ত প্রচুর পর্যটক এসেছে আরও আসবে বলে আমরা আশাবাদী।
লাউয়াছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, পূজার টানা ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে লাউয়াছড়ায়। তিন দিনে পর্যটকদের প্রবেশমূল্য বাবদ সাড়ে তিন লক্ষাধিক টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। পর্যটকের নিরাপত্তার স্বার্থে ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি বন বিভাগের সদস্যরাও কাজ করছে, পর্যটকের নিরাপত্তার দিক থেকে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।