ট্রান্সপোর্ট মালিকের প্রতারণার খপ্পড়ে ধান বেপারীর মাথায় হাত
মল্লিক জামাল, স্টাফ রিপোর্টার:-বরগুনার তালতলীতে এক ধানের বেপারী ট্রান্সপোর্ট মালিকের প্রতারণার খপ্পরে পরে প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ ঘটনায় আমতলী থানায় ওই ব্যাবসায়ী মামলা দায়ের করলে প্রতারক ও তার ছেলে আত্মগোপন করেন এবং ২ জন কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় আমতলী থানা পুলিশ।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, ব্যাবসায়ীক উদ্দেশ্যে বিবাড়িয়ায় সড়কপথে ধান পাঠাতে আমতলী উপজেলার মানিকঝুড়ি বাজারের রাহাত ট্রান্সপোর্ট এর প্রোঃ মোঃ বাহাদুর আকনের সাথে যোগাযোগ করেন তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকার ধান ব্যাবসায়ী মোঃ ইউসুফ মাতুব্বর। গত ২২ নভেম্বর নিজ এলাকা থেকে ২৫০ বস্তায় করে ৪৩৭ মন ধান একটি মালবাহী ট্রাকে (চট্র মেট্রো-ট ১১-৯৮১০) তুলে দেওয়া হয়। উক্ত ধানের খাজনা সহ বর্তমান মূল্য ৫,৭৬১৮৭ টাকা। একই সাথে গাড়ির তেল খরচ বাবদ নগদ ১০ হাজার এবং পরর্বতীতে গাড়ি নষ্ট হয়েছে দাবি করে বিকাশের মাধ্যমে ৫০০০ টাকা নেয় প্রতারক বাহাদুর আকনের ছেলে (গাড়ি চালক) রাহাত। এরপর থেকে ফোনে ধান মালিকের সাথে প্রতারণামূলক কথা এবং বারবার নাম্বার বন্ধ করে রাখে রাহাত ট্রান্সপোর্ট কতৃপক্ষ। পরক্ষণে ব্যাবসায়ী মোঃ ইউসুফ মাতুব্বর আমতলী থানায় মামলা দায়ের করলে আমতলী থানা পুলিশ ২ জন আসামী গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠান। এদিকে আত্মগোপনে চলে যায় রাহাত ট্রান্সপোর্টের মালিক বাহাদুর আকন ও তার ছেলে রাহাত। ব্যাবসায়ীর ধান গায়ের পূর্বেও রাহাত ট্রান্সপোর্ট এর প্রোঃ মোঃ বাহাদুর গংদের বিরুদ্ধে একাধিক ব্যাক্তির সাথে প্রতারণা ও ডাবের চালান, মাছের চালান নিয়ে উধাও হয়েছিল।
এবিষয়ে বাহাদুর গং এর সাথে যোগাযোগের জন্য একাধিক কল করে কিংবা ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও সারা পাওয়া যায়নি। ধান বেপারী মোঃ ইউসুফ মাতুব্বর বলেন, আমার কাছে বাহাদুর বলেন, তাহার ছেলে চলক হিসেবে থাকবে আপনার ধান এই গাড়িতে উঠিয়ে দেন। এখান থেকে ধান নিয়ে আর কোনো সারা না পেয়ে আমি আইনের দারস্থ হয়েছি। এখন আমায় বিভিন্ন নেতা দ্বারা হুমকি-ধমকি দেওয়াচ্ছে মামলা তুলার জন্য।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ২ জন আসামী গ্রেপ্তার করেছি বাকিদের গ্রেপ্তার ও গাড়ি আটকের কার্যক্রম চলছে।