কুলাউড়ায় ইউপি সদস্য উপর খাল খননে অনিয়ম ও গাছপালা ধ্বংসের অভিযোগ
কুলাউড়া প্রতিনিধি :কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে হতদরিদ্রের কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় খাল খননের নামে ব্যাপক অনিয়ম ও গাছপালার ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে দানাপুর গ্রামের বাসিন্দা খালিক মিয়া কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযাগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, হতদরিদ্রের কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় ‘দানাপুর ভটর মার খাড়া’ এলজিইডি রাস্তা থেকে দক্ষিণমুখী খাল খনন প্রকল্পে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। প্রকল্পের সভাপতি ও জয়চন্ডী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার রমজান আলী কাজটি বাস্তবায়ন করছেন। যদিও কাজটি বাস্তবায়নে এলাকার হতদরিদ্র লোকজন দিয়ে বাস্তবায়ন করার কথা, কিন্তু প্রকল্প সভাপতি মাটি কাটার এসকেভেটর যন্ত্র দিয়ে কাজটি করাচ্ছেন। এসকেভেটর দিয়ে কাজটি সম্পাদন করতে সর্বচ্চো ব্যয় হবে এক লাখ টাকা। বাকি টাকাগুলো তাহলে কোনখাতে ব্যয় হবে?-স্থানীয় লোকজনের এমন প্রশ্ন।
খালিক মিয়ার অভিযোগ, খালের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা ও ভূমির মালিক হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে তার গাছপাল ক্ষতিগ্রস্থ করা হচ্ছে। তাছাড়া জৈনক আব্দুল লতিফ নামে এক ব্যক্তিকে সুবিধা করে দিতে খাল খননের নামে তাদের মৌরসী সম্পত্তির উপর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা তৈরির পায়তারা চলছে। গাছ কাটার সময় পরিবারের পুরুষ-মহিলারা বিষয়টি বুঝার জন্য প্রতিবাদ জানালে রমজান আলী মেম্বারের একান্ত সহযোগী মহিলাদের ভিডিও চিত্র ধারণ করে ফেসবুকে আপলোড করে তাদের মানসম্মানের হানী করা হয়েছে। তিনি সরেজমিন পরিদর্শণপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এব্যাপারে রমজান আলী মেম্বার জানান, এই খাল খনন করে দু’পাশ দিয়ে একটি রাস্তা নির্মাণ করার জন্য এলাকার লোকজন দীর্ঘদিন থেকে আবেদন করে আসছিলেন। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে খাল খনন কাজ সুষ্ঠুভাবে চলছে। যারা অভিযোগ করেছেন তারা নিজেরাই লোক লাগিয়ে গাছগুলো কেটে নিয়েছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শিমুল আলী জানান, বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।