দৈনিক নবোদয় পত্রিকায় খবর প্রকাশ,নবমুসলিম পরিবারের পাশে দেশসেরা উদ্ভাবক মিজান
সোহেল রানা, যশোর প্রতিনিধিঃবহুল প্রচলিত জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল দৈনিক নবোদয় ডট কমসহ বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা জন্মানোর কারণে একমাত্র মেয়েকে নিয়ে পরিবারের তিন সদস্য হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছেন এক দম্পতি শিরোনামে গত (২৮ ডিসেম্বর) নিউজ প্রকাশ হওয়ায় ব্যাপক ভাবে আলোচনায় আসে বিষয়টি।
উক্ত সংবাদের জের ধরে নব মুসলিম পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী, পবিত্র আল কোরআন, জায়নামাজ,টুপি, আতর, কম্বল ও শীতবস্ত্র সহ নগদ অর্থ বিতরণ করেন দেশসেরা উদ্ভাবক মিজানুর রহমান।
হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করায় ব্যাপক ভাবে অনুপ্রাণিত হন তিনি।এই নব মুসলিম পরিবারটি গরীব ও অসহায় হওয়ায় মঙ্গলবার (৫জানুয়ারি) দুপুরে চাল, তেল, আটা,তরিতরকারি,মুরগী এবং অন্যান্য দ্রব্য সামগ্রী নিয়ে হাজির হন মিজান।
একই সাথে নগদ অর্থ তুলে দেন পরিবারের হাতে এবং সার্বিক খোঁজ খবর নেন।আশ্বস্ত করেন জরাজীর্ণ কুঁড়ে ঘর থেকে বের করে ভাল ঘরের ব্যবস্থা করতে সরকারের কাছে জোর আবেদন রাখবেন।
উদ্ভাবক মিজান বলেন,দারিদ্র্যতার যাতাকলে পিষ্ট হওয়ার পরও জীবনের শেষ সময়ে এসে আল্লাহ ও রসুলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে ধর্ম পরিবর্তন করেন তারা। ইসলাম ধর্মের অনুসারী হয়ে কাটিয়ে দিতে চান জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত।
একটি অসহায় পরিবার নব মুসলিম হয়েছে আমরা ভীষণ খুশি হলেও কোন ইসলামী সংগঠন তাদের পাশে আসেনি।আসেনি কোন মানব সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান। অথচ কোন ব্যক্তি খ্রীষ্টান ধর্মে নাম লেখালে তাকে সারাজীবন আরাম আয়াশে কাটানোর ব্যবস্থা করা।
তাহলে কোথায় আমাদের সেবামূলক সংগঠন,কোথায় ইসলামি হেল্প ফাউন্ডেশন আর কোথায় আমাদের মানবিকতা।নব মুসলিম এই পরিবারের জন্য সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে সাহায্য ও সহযোগিতার আবেদন করছি।সেই সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি নব মুসলিম এই পরিবারটি একটি ঘর পেলে ইসলামের আলোয় আলোকৃত হবে ঘরটি।
উল্লেখ্য :যশোরের চৌগাছা উপজেলার ধুলিয়ানী ইউনিয়নের কুষ্টিয়া (রামভাদ্রপুর) গ্রামের সাধায় রাহা স্ত্রী সন্ধ্যা রাহা ও একমাত্র কন্যা সাধনা রাহার বসবাস করতেন।বিগত বছরের ২১/১২/২০২০ ইং তারিখে নিজ হিন্দুধর্ম ত্যাগ করে কোর্টের মাধ্যমে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছেন তারা।
তিন সদস্যের মধ্যে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি মাধই রাহা দারিদ্র্যতার কষাঘাতে দুমড়ে মুচড়ে নড়বড়ে শরীর নিয়ে পানের ব্যবসা করে দিন পার করছিলেন।কয়েক বছর যাবত ইসলাম ধর্মের আইন কানুন,নিয়ম নীতি ও ইসলামের সত্যতা এবং পবিত্র আল কোরআনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে মনের সাথে যুদ্ধ করতে থাকেন এই তিন সদস্য।
পরিশেষে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মোসলমান ধর্ম গ্রহণ করে ইসলাম ও নবীর আদর্শে জীবন পরিচালনা শুরু করেছেন এই হতদরিদ্র পরিবার।হিন্দুয়ানী নাম পরিবর্তন করে সাধায় রাহার নাম রেখেছেন মোঃ আবুল কাশেম, সন্ধ্যা রাহার নাম পরিবর্তন করে সায়রা বেগম এবং সাধনা রাহার নাম রেখেছেন রাবেয়া আক্তার মিম।
এসময় উদ্ভাবক মিজানের সাথে উপস্থিত ছিলেন চৌগাছা উপজেলার ধুলিয়ানীর ম্যারেজ রেজিস্ট্রার ডাঃ কাজী ইকবাল হোসেন,বেলতা -কাশিপুর জান্নাতা খানম মহিলা কওমী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক কামাল হোসাইন, সাংবাদিক মিলন কবীর, জসিম উদ্দিন সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
ফিরতি পথে উদ্ভাবক মিজান তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মাদের মাজার এবং দৈনিক গ্রামের কাগজের কাশিপুর প্রতিনিধি জামাল হোসেনের মাজার জিয়ারত করেন।