ঢাকা | ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪ - ১০:৫০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

সুনামগঞ্জের ওসি শহিদুরের নিজ উদ্যোগে ফুলের বাগান ও সবজি চাষ

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Friday, January 22, 2021 - 9:17 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 73 বার

মুরাদ মিয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি৷ ঃ সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে থানার সামনে ১৭ শতক পতিত জমিটুকু পতিত থাকলেও স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘ ৪৯ বছরে ও এই থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যারা দায়িত্ব পালন করে গেছেন তারা এই পতিত জাগয়াটুকুকে কাজে লাগাতে পারেননি। দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে কেহ কোন সময় ফুল ফল কিংবা সবজি চাষে উদ্যোগী হননি, রক্ষণাবেক্ষন কিংবা পরিচর্চার জন্য এগিয়ে আসেননি।

কিন্তু বর্তমানে এই থানার দাযিত্বপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মো.শহিদুর রহমান যোগদানের পর থেকে এই পতিত জমিটুকুর চেহারা পাল্টে গেছে। থানার ভেতরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে শীতকালীন নানান ধরনের ফুল ফল ও সবজি চাষের মহারোহ । গাছে গাছে বিভিন্ন ধরনের ফুলের মৌ মৌ গন্ধে আর সবজি গাছে সবজি আসতে শুরু করায় পাল্টে গেছে থানার চারপাশের এলাকাটুকু। শহিদুর ব্যক্তি উদ্যোগে নিজের অর্থ ব্যয় করে এই ১৭ শতক জমিতে টমেটো চাষ, সিম, মূলা, মিষ্টি লাউ, পানি লাউ, লেডিস পাতা,বেন্ডি,পিয়াজ,রসুন,মরিচ,বেগুন,শশাসহ হরেক রকমের সবজি চাষ করেছেন। বিভিন্ন প্রজাতির ফল ও ফুলের বাগানের পাশাপাশি হরেক রকমের সবজি চাষ করায় থানায় আসা দর্শনার্থী ও অভিযোগকারীরা জানান,থানায় ফুলের মৌ মৌ গন্ধ উপভোগ করেন যা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করছে বলে মনে করেন তারা।

শুক্রবার বাদজুম্মা সরেজমিনে থানায় গিয়ে কথা হয় থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. শহিদুর রহমানের সাথে। তিনি জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার ঘোষনা দিয়েছেন কোথাও বাড়ির পাশে কিংবা বাড়ির আঙ্গিনায় এক ইঞ্চি জায়গা ও যেন খালি কিংবা পতিত না থাকে। প্রধানমন্ত্রীর এমন উদ্যোগের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে এই সদর মডেল থানায় যোগদানের পর এই ১৭ শতক পতিত জায়গাটুকুকে পতিত না রেখে আবাদের চেষ্টা করেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশনাকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে নিজ উদ্যোগে যোগদানের পর বেতনের প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ করে এই ১৭ শতক পতিত জায়গাটুকুতে শীতকালিন বিভিন্ন ধরনের ফুল,ফল ও সবজি চাষ কার শুরু করেছেন। তিনি মনে করেন এই ফুল,ফল ও সবজি চাষের কারণে এখানকার পরিবেশের ভারসাম্য সুরক্ষার পাশাপাশি এই ফরমালিনমুক্ত সবজিগুলো নিজে এবং থানার সকল অফিসার ও সদস্যরা নিয়মিত নিয়ে খাচ্ছেন বলে ও জানান তিনি। তিনি প্রতিদিন পেশাগত দায়িত্ব পালনের ফাকেঁ ফাকেঁ বাগানে সময় দেন এবং পরিচর্চা করেন । তিনি সুনামগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহবান জানান, বৈশি^ক জলবায়ূ পরিবতর্নের প্রভাব আমাদের দেশে ও পড়েছে তাই প্রতিটি মানুষ যার যার অবস্থান থেকে নিজ নিজ বাসাবাড়ির পতিত জায়গায় ও বাড়ির আঙ্গিনায় বিষমুক্ত ফল ফুল ও সবজি চাষ করুণ যা শরীরের অনেক উপকারে আসবে। অনেক অস্বচ্ছল পরিবার সবজি চাষ করে তা বাজারজাত করলে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার ও সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

এ ব্যাপারে কথা হয় সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় কর্মরত এস আই অঞ্জন চন্দ্র সরকার,এস আই জিন্নাত,এস আই জালাল উদ্দিনের সাথে। তারা জানান আমাদের এই সদর মডেল থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে শহিদুর রহমান স্যার যোগাদনের পর পরই এই পতিত জমিটুকুকে আবাদযোগ্য করতে তিনি নিজ উদ্যোগে ফল ফুল ও সবজিচাষের দিকে ঝুকে পড়েন। এখন থানার আশপাশে হরেক রকম ফুলের মৌ মৌ গন্ধে বদলে গেছে পুরো থানা এলাকা। অনেক দর্শনার্থী ও ফুলপ্রেমিরা অবসর সময় কাটাতে ছুটে আসেন থানার ভেতরে। সবাই যার যার পতিত জমিটুকু পতিত না রেখে বিভিন্ন ধরনের ফল ফুল ও সবজি চাষে উদ্যোগে হয়ে নিমূল বাতাস উপভোগে আগ্রহী হতে আহবান জানান।
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
২২.০১.২১