ঢাকা | ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪ - ২:৩০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

লক্ষ্মীপুরে নোমান-রাকিব হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দুইটি বন্দুক-বুলেট উদ্ধার

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Saturday, May 6, 2023 - 12:14 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 29 বার

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে আলোচিত নোমান-রাকিব হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দুইটি বন্দুক ও ৫ রাউন্ড (কার্তুজ) বুলেট উদ্ধার করেছে পুলিশ ।

শনিবার (০৬ মে) দুপুরে পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ তার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের এ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয় নিশ্চিত করেন।

পুলিশ সুপার জানান, নোমান-রাকিব হত্যা মামলার আসামি মশিউর রহমান নিশান ও ছোট বাবলুকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ডে তারা হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে জানান। একপর্যায়ে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গতকাল শুক্রবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে বশিকপুর ইউনিয়ন থেকে পৃথক দুইটি স্থান থেকে এ অস্ত্র-গুলো উদ্ধার করে। দুইটি দেশীয় তৈরি লোহার দো-নালা বন্দুক ও ৫ রাউন্ড (কার্তুজ) বুলেট উদ্ধার করা হয়। এবং তাদের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় পৃথক দুইটি অস্ত্র আইনের মামলা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ রায়পুর-রামগঞ্জ (সার্কেল) শেখ সাঈদী, পুলিশ কার্যালয়ে বিশেষ শাখার কর্মকতা (ডিআইওয়ান) মো. আজিজুর রহমান মিয়া, জেলা গোয়েন্দা ডিবি-পুলিশের (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন টিট, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোসলেহ উদ্দিন, রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদ ও চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তওহীদ।
উল্লেখ্য: গত ২৫ এপ্রিল রাতে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার বাজার এলাকায় জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমামকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এসময় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল নিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থল গিয়ে স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা নোমানকে মৃত ঘোষনা করেন। ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যান তিনিও। ২৬ এপ্রিল রাত ১ টার দিকে নিহত নোমানের বড় ভাই ও বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম জিহাদীকে প্রধান করে ১৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলার পর থেকে র‍্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১১ আসামিকে গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে ৬ আসামির মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। কদু আলমগীর ও দেওয়ান ফয়সাল আদালতে স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা সরাসরি এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত।