ঢাকা | জানুয়ারী ১১, ২০২৫ - ৪:৩২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

আরও ৩ মামলায় হেফাজত নেতা মামুনুল হকের জামিন

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Tuesday, May 9, 2023 - 7:03 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 32 বার

নিজস্ব প্রতিবেদক:নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁও থানায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা ৩ মামলায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হককে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (৯ মে ) এই আদেশ দেন বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষ শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবু রায়হান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী।

গত বুধবার (১০ মে) রাজধানীর পল্টন ও চট্রগ্রামের হাটহাজারী থানায় দায়ের করা ৫ মামলায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হককে জামিন দেন হাইকোর্ট। তার জামিন বিষয়ে রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।

আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা বলেন, ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ঢাকা, চট্রগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ঢাকার পল্টনের ৪ মামলা ও হাটহাজারীর এক মামলায় হাইকোর্ট মামুনুল হকের জামিন বিষয়ে রুল জারি করেছিলেন। আজ রুল যথাযথ ঘোষণা করে এই ৫ মামলায় তাকে হাইকোর্ট জামিন দিয়েছেন। তবে তার বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে। এ কারণে তিনি এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না।

২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ও সহিংসতার পর বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় আসেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মামুনুল হক। এর মধ্যে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরেরও বিরোধিতা করেন তিনি। এ নিয়ে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়।

এসব ঘটনায় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে তিন ডজন মামলা হয়। একই বছরের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার একটি রিসোর্টে এক নারীসহ ঘেরাও হন মামুনুল হক। একপর্যায়ে রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেন হেফাজতের কর্মীরা। ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের একটি মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রয়েল রিসোর্টকাণ্ডের ২৭ দিন পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে কথিত স্ত্রী মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।