ঢাকা | ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪ - ১১:০৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

ময়মনসিংহের অষ্টধারে এক রাস্তায় কয়েক গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলছে!

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Thursday, June 8, 2023 - 3:49 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 93 বার

ষ্টাফ রিপোর্টারঃময়মনসিংহের সদর উপজেলার অষ্টধার ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোতে যখন এই এলাকায় নৌকা ছাড়া চলাচলের কোনো উপায় থাকে না। তখন রাস্তা যেন এক দূরের স্বপ্ন যা কখনো বাস্তবায়ন হওয়ার নয়। ছোট-বড় জঙ্গলের মাঝ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে এখনো যাদের চলাচল তাদের কাছে পাকা রাস্তা স্বপ্নই মনে হবে-এটাই স্বাভাবিক। দেশ স্বধীনের পরে এখানকার বাসিন্দারা প্রশস্ত কাঁচা রাস্তাও দেখেননি।

যা বর্তমানে ইউনিয়নের তারাপুর, সেনেরচর,রেহাই তারাপুর, মহিষমারী,সেনেরচর,কাউনিয়া ও নামাকায়দা পাড়া চরাঞ্চল এর গ্রামের মানুষ চলাচলের জন্য একটি রাস্তার স্বপ্ন পুরণ হতে চলেছে। এই রাস্তা পেয়ে তারা খুবই আনন্দিত।

জানাযায়, বিচ্ছিন্ন ওইসব এলাকা থেকে অল্প সময়ে সরাসরি ইউনিয়ন তথা উপজেলার প্রাণকেন্দ্রেও আসার কোনো উপায় নেই। অবিশ্বাস্য হলেও এমন চিত্র ডিজিটাল যোগে চোখে পড়ে অষ্টধার ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন এলাকা তারাপুর, সেনেরচর,রেহাই, তারাপুর, মহিষমারী,সেনেরচর,কাউনিয়া ও নামাকায়দা পাড়াসহ চরাঞ্চল এর কয়েকটি গ্রাম। এই গ্রামগুলো এখনো নাগরিক সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত অঞ্চল বলে জানা যায়।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, অষ্টধার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক আরমান এর প্রচেষ্টায় দূর্যোগ মন্ত্রণালয়ের কাবিটা (কাজের বিনিময়ে টাকা) প্রকল্পের আওতায় মহিষমারী নদীর ঘাট থেকে নামা কাইদাপারা পর্যন্ত ১৫ ফিট প্রশস্ত এবং প্রায় ১.৫ কিমি দীর্ঘ রাস্তার নির্মান কাজ উদ্বোধন করা হয়।

মহিষমারী ও কাউনিয়া এলাকাবাসী জানান, আমরা এই রাস্তা পেয়ে খুবই আনন্দিত এবং এমদাদুল হক আরমান চেয়ারম্যানের মঙ্গল কামনা করেন। এ ভাবে ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডে রাস্তা নির্মাণ করা খুবই জরুরি। কারণ এ ওয়ার্ডের এলাকাগুলো নদী ও খাল দিয়ে বিচ্ছিন্ন এবং জঙ্গলে ভরপুর। এখানে রয়েছে একটি মাত্র “ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়”। এই প্রাথমিক বিদ্যালয় শুকনো মৌসুমে গ্রামগুলোতে আজও জঙ্গলের ভিতর দিয়ে পায়ে হেটেঁ আর বর্ষায় নৌকা দিয়ে চলাচল করতে হয়।

ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক আরমান বলেন, রাস্তা মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা যত উন্নত সেই এলাকার গুরুত্ব তত বেশী।কোনো অদৃশ্য কারণে দীর্ঘদিন এই গ্রাম গুলো উন্নয়নের কাজ থেকে বঞ্চিত ছিল। বর্তমানে এই ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ডের কাজ পরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

এক দিকে আমি নতুন আরেক দিকে সরকারের বাজেট কম একই সঙ্গে অন্য রাস্তাগুলো নির্মাণ করাও জরুরি। তবে ওই নিম্ন এলাকাগুলো বিচ্ছিন্ন বলে ওয়ার্ডটির প্রকৃত উন্নয়ন হতে একটু সময় লাগবে। তবে ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডটির উন্নয়ন ধীরগতিতে দৃশ্যমান হলেও কাজ চলছে গুরুত্বের সঙ্গে। আর চিহ্নিত করার মাধ্যমে এবং ইউনিয়নের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও সার্বিক সহযোগিতায় পর্যায়ক্রমে ওয়ার্ডের রাস্তাসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে। তিনি আরো বলেন, মাননীয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আশরাফ হোসাইন এর নির্দেশনায় তারাপুর, সেনেরচর,রেহাই,

তারাপুর, মহিষমারী,সেনেরচর,কাউনিয়া ও নামাকায়দা পাড়াসহ চরাঞ্চল বাসীর যাতায়াতের সমস্যা লাঘবে চির বঞ্চিত মহিষমারী-কায়দাপাড়া গ্রামের রাস্তার মাঠি কাজের শুভ সূচনা করা হয়। একটি রাস্তা করতে গেলে সাময়িকভাবে কিছু ক্ষতি হলেও দীর্ঘমেয়াদী অনেক উপকার রয়েছে। তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আশরাফ হোসাইন এর সহযোগিতা কামনা করেন।