ঢাকা | ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪ - ৭:১৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

তানোরে ভেঁকু দালাল হাজি তরিকুলের দৌরাত্ম্যে জনজীবন দুর্বীসহ

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Wednesday, June 14, 2023 - 4:29 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 38 বার

সোহানুল হক পারভেজ (রাজশাহী):
রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার আকচা ফকিরপাড়া মহল্লাবাসির বাধা উপেক্ষা, ফসলি মাঠে পানি নিষ্কাশনের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও নীতিমালা লঙ্ঘন করে তিন ফসলি কৃষি জমি ভরাট করা হচ্ছে।

এসব কৃষি জমি ভরাট করা হলে ভাতরন্ড, আকচা, জিওলচাঁদপুর ও কাশিমবাজারসহ কয়েকটি মাঠের কয়েক হাজার বিঘা ফসলি জমি জলাবদ্ধতার মুখে পড়বে। স্থানীয়রা জানান, নওহাটা এলাকার চিন্হিত ভেঁকু দালাল জনৈক হাজি তরিকুল অবৈধভাবে মাটি বাণিজ্যে করছে। কৃষকদের অভিযোগ, প্রশাসনের একশ্রেণীর কর্মকর্তা, রাজনৈতিক পরিচয়ের হোমড়াচোমরা, দালাল ও কতিপয় জনপ্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত সিন্ডিকেট চক্রকে ম্যানেজ করে হাজি তরিকুল প্রকাশ্যে-দিবালোকে এসব অপকর্ম করছে। এদিকে এসব মাটি বহনে অবৈধ যান ট্রাক্টরের (কাঁকড়া) বিকট শব্দ, ধুলো-বালিতে পরিবেশ দুষণ ও কাঁচা-পাকা রাস্তা নষ্ট করা হচ্ছে। কৃষকেরা ভেঁকু দালাল হাজি তরিকুলকে আটক ও তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, কঠোর আইন আছে কৃষি জমির মাটি কাটা যাবে না। পুকুর খননের মাটি পুকুর পাড়ে রাখতে হবে। এলজিইডির গ্রামীন সড়কের ক্ষতি হয় সে জন্য মাটি নিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ। আইন ভঙ্গ করলে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা ও জেলের বিধান রয়েছে। কিন্ত এসব আইন আর বিধি -নিষেধ কেবল কাগজে, বাস্তবে নেই। এদিকে রাস্তা রক্ষার জন্য ২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর ১৯৫২ সালের বিল্ডিং কনষ্ট্রাকশন এ্যক্টের ৩ ধারা মতে একটি পরিপত্র জারী করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের (উন্নয়ন-২) উপ-সচিব জেসমিন পারভিন।

ওই আইনের দন্ডবিধির ১৮৬০ এর ধারা ৪৩১ মোতাবেক সরকারী রাস্তার ক্ষতি সাধন ফৌজদারী দন্ডনীয় অপরাধ। এই আইনে ৫ বছরের কারাদন্ড, জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। ফলে সরকারী রাস্তার ক্ষতি সাধন হয় এমন কাজ করা যাবে না। কিন্ত্ত তানোরে আইন বাস্তবায়নে রহস্যজনক কারণে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছে। পুকুর পাড়ের বাসিন্দারা জানান, কদিন আগে পুলিশ ভেঁকু মেশিনের দুটি ব্যাটারী জব্দ করেছে।

এখন আবার মাটি বাণিজ্যে করা হলেও অজ্ঞাত কারণে পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করছে। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর (সাবেক) উজ্জ্বল হোসেন বলেন, এসব কৃষি জমি ভরাট করা হলে অকাল জলাবদ্ধতার কারণে কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার বিঘা ফসলি জমির ফসলহানির আশঙ্কা রয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে ভেঁকুর চালক বলেন, থানা ম্যানেজ করা হয়েছে, গ্রামবাসিকে ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে এবার মাটি কাটতে কোনো সমস্যা নাই। তিনি বলেন, সরকারী রাস্তা ভাঙলে সরকার রাস্তা করবে, এখানে পাবলিকের সমস্যা কি ?।