সখিপুরে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা
সখিপুর:শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার উত্তর তারাবুনিয়া নোয়াব আলী সরকার কান্দি গ্রামে আলী আকবর হাওলাদার এর স্ত্রী ওহিদা খাতুন কে তার বাড়ির সামনে খুটির সাথে হাত পা ও মুখ বেঁধে জোরপূর্বক জমহ দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে খবির হাওলাদার, কবির হাওলাদার নাছির হাওলাদার এর নেতৃত্বে আরো ৫/৭ জনের বিরুদ্ধে । স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,
১৬ জুন শুক্রবার সারে এগারো টার দিকে আলী আকবর ও তার ভাই মোহাম্মদ আলী হাওলাদার বাড়ি না থাকায় তাঁতের পৈত্রিক ও ক্রয় সূত্রের মালিকানা জমিতে বসবাস করে আছে।
ওই জমিতে তার চাচাতো ভাই খবির হাওলাদার ও কবির হাওলাদার নাছির হাওলাদার দেওয়ানী মোকদ্দমা নং ২৩৭/২০২৩ ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পিটিশন ৪৫০/২০২৩ ইং ১৪৪/১৪৫ ধারা মামলা করে। সখিপুর থানায় মামলা জারিকৃত ১৪৪/১৪৫ জমিতে যে অবস্থা আছে সে অবস্থায় বজায় রাখার আদেশ দেয়া হয়। কিন্তু বাদি খবির হাওলাদার নিজেই আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নাল জমিতে ওষুধ দিয়ে ধান ধ্বংস করে বাড়িতে তার ফল বাগানের পেঁপে গাছ, লেবু গাছ, কলা গাছ এবং পেয়ারা গাছ ও সাক সবজি কেটে ধ্বংস করে এসময় বাড়িতে থাকা আলী আকবর এর স্ত্রী চিল্লাচিল্লি করলে তাকে মুখ বেঁধে খুটির সাথে বে হাত পা বেঁধে মারপিট করে।
এ বিষয়ে উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোঃ হোসেন হাওলাদার বলেন, এ পরিবারের কোন জায়গায় এখানে নেই আমরা স্থানীয় মুরুব্বিদের কে নিয়ে শালিশ বসে সব জায়গায় জমি বন্টন করে দিয়েছি। কিন্তু তারা ১৪৪/১৪৫ জারি করে আবার সেই জায়গায় বয়স্ক মহিলাকে বেঁধে জায়গায় দখল করতে আসে এটা ন্যাক্কারজনক ঘটনা এর বিচার আমরা চাই।
আলী আকরব, মোহাম্মদ আলী জানান আমাদের পৈত্রিক বাড়ির ও আমার চাচাতো ভাই খবির হাওলাদারে বাবার কাছ থেকে জমি কিনে বসবাস করতেছি। ওই পরিবারে এখন টাকা পয়সা হওয়া আমাদের জমি নেয়ার চেষ্টা করতেছে তারা বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে এবং একাধিক মামলাও করেছে মামলায় ওই জমি এর উপরে নিষেধাজ্ঞ থাকার পরেও জোর করে খবির হাওলাদার ও কবির হাওলাদার গং বাড়ির ফল বাগান ধ্বংস করে আলী আকবর হাওলাদার স্ত্রী ওহিদা খাতুন কে খুঁটি সাথে বেঁধে মারপিট লোকজন দেখে পালিয়ে যায় তারা।
স্থানীয়রা ওহিদা খাতুন কে উদ্ধার করে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেসে ভর্তি করে। এবিষয়ে খবির হাওলাদার ও কবির হাওলাদার বলেন,আমরা জমিতে মামলা করি পরে এখন দখল নিতে আসলে ওহিদা খাতুন গালিগালাজ করলে তাকে ধরে নিয়ে ঘরে রেখে আসি তাঁকে কোন মারপিট করা হয়নি।
ঘটনা পুলিশকে জানানো হলে সখিপুর থানা৷ এস আই সোহাগ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।