ইউএনও’র হস্তক্ষেপে ডিসির সহায়তায় তারাকান্দায় ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল পুননির্মাণ
আরিফ রববানী ময়মনসিংহ:ময়মনসিংহের তারাকান্দায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ঝড়ে পড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষ পূর্ণঃনির্মাণের ব্যবস্থা করলেন জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।
ইউএনও মিজাবে রহমত এর সার্বিক প্রচেষ্টায় ও উদ্যোগে ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ ডৌহাতলি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পুননির্মাণে জেলা প্রশাসকের অনুদান পেয়ে আবারো ক্লাশ শুরু হয়েছে বিদ্যালয়ের পুননির্মাণাধীন শ্রেণীকক্ষে। ডিসির সহযোগিতায় ইউএনও’র উদ্যোগে ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে দ্রুত ক্লাশ চালু হওয়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুখে হাসি ফুটেছে।তারা স্থানীয় প্রতিমন্ত্রী, জেলা প্রশাসক ও ইউএনও’র প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন।
জানাযায়,উপজেলাধীন ডৌহাতলি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অস্থায়ী টিনশেড গৃহটি কিছুদিন পূর্বে ঝড়ে ভেঙ্গে পরে। মাননীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক তাৎক্ষনিক পরিদর্শন পূর্বক গৃহটি পুনঃ নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে স্কুলটি পুনঃ নির্মাণের জন্য ২০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তাফিজার রহমান।
এছাড়াও, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
বুধবার (১২জুলাই) জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তাফিজার রহমান এর দেয়া অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার জিবন আরা বেগম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাকারিয়া আলম, স্থানীয় বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
ঝড়ে পড়া গৃহটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উদ্যোগে জরুরী ভিত্তিতে পুনঃ নির্মাণ পরবর্তী বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম বুধবার ১২জুলাই থেকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত বলেন,কিছুদিন পূর্বে ঝড়ে ভেঙ্গে পড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষ পূর্ণ নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসক মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান স্যারের অনুদান ও তারাকান্দা উপজেলা কার্যালয়ের অনুদানের সমন্বয়ে ঝরে পড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘরটি পূর্ণনির্মাণ সম্পূর্ণ করা হয়েছে এবং বিদ্যালয়ের নবনির্মিত শ্রেণীকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছিমা খাতুন তার বক্তব্যে- স্বশরীরে বিদ্যালয়ের ক্ষতিগ্রস্থ কক্ষ পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলটি পুণরায় ক্লাশ চালুর ব্যবস্থা করায়
ইউএনও মিজাবে রহমত এর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ঈদের আগে ঘুর্ণঝড়ে স্কুলটি ভেঙ্গে পড়ে,ইউএনও’র আন্তরিকতায় ঈদের পরেই বিদ্যালয়ের ক্লাশ চাল করতে পেরেছি। কিন্তু ঈদের ঠিক আগ মুহুর্তে এমন ঘটনায় ক্লাশ চালানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলাম। তবে ইউএনও স্যারের সহযোগিতা পেয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার কাজ শেষ করে শ্রেণীকক্ষগুলো পাঠদানের উপযোগী করতে পেরে আমরা কৃতজ্ঞ।