তাহিরপুরে পুলিশের অভিযানে ৬ চোরাকারবারি আটক
মুরাদ মিয়া,সুনামগঞ্জ:সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তের ওপারে ভারত থেকে চোরাই পথে নিয়ে আসা ভারতীয় ৮মে:টন চোরাই কয়লা বোঝাই ১টি স্টিল খোসা নৌকাসহ ৬ চোরাকারবারিকে আটক করেছে তাহিরপুর থানা পুলিশ।
শুক্রবার ভোররাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের টাংগুয়া হাওর ওয়াচ টাওয়ার নামক এলাকা থেকে ৬ চোরাকারবারিসহ ৮মে:টন কয়লা বোঝাই ১টি স্টিল খোসা নৌকা আটক করেন,শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা এসআই শাহাদাত হোসাইন।
এ বিষয়ে তাহিরপুর থানায় শুক্রবার দুপুরে আটককৃত ৬ চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের মৃত জজ মিয়ার ছেলে হারুন মিয়া(১৯) ও তার সহোদর মামুন হোসেন(২২),একই গ্রামের নুর ইসলাম এর ছেলে সাইদুল হক(২৪),উসমান মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন(২৪),একই ইউনিয়নের কলাগাঁও গ্রামের গিয়াস উদ্দিন এর ছেলে আতিকুল ইসলাম(২০),একই ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী রতনপুর গ্রামের মৃত হাতেম আলীর ছেলে মনির মিয়া(২৯)।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে তাহিরপুর থানার এসআই শাহাদাত হোসাইন।
সীমান্তের স্থানীয় সূত্রে জানাযায় তাহিরপুরের কলাগাঁও -চারাগাঁও, বাঁশতলা,লালঘাট,লাকমা ও টেকেরঘাট সীমান্তের কয়েকটি চোরাচালানী চক্র গত দু’বছরের অধিক সময় ধরে বিনাশুল্কে ভারত হতে চোরাচালানের মাধ্যমে কয়লা চালান এপারে নিয়ে এসে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে আসছে চোরাচালানকারী সিন্ডিকেট চক্রটি।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার রাতে আটককৃত চোরাকারবারিরা তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তের ট্যাকেরঘাট, লাকমা,সীমান্তে লালঘাট চারাগাঁও,কলাগাঁও এলাকা দিয়ে বিনাশুল্কে ভারত থেকে চোরাই পথে ভারতীয় চোরাই কয়লা বাংলাদেশ নিয়ে আসে।
এরেই প্রেক্ষিতে আজ ভোররাতে চোরাকারবারি সিন্ডিকেট চক্রটি ১টি স্টিল বডি খোসা ইঞ্জিন চালিত নৌকায় চোরাই কয়লার বস্তা বোঝাই করে পাশ্ববর্তী নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা যাওয়ার পথে খবর পেয়ে তাহিরপুর থানার এসআই মোঃ শাহাদাত হোসাইন এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের টাংগুয়া হাওর ওয়াচ টাওয়ার নামক স্থান থেকে ৬ চোরাকারবারিসহ ৮মে:টন কয়লা বোঝাই ১টি নৌকা আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন,পুলিশ বাদী হয়ে আটককৃত ৬ চোরাকারবারি বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়েছে। সবরকমের চোরাচালান রোধে পুলিশ সব সময়ই বদ্ধ পরিকর। চোরাচালান বন্ধে পুলিশের এই রকম অভিযান সবসময় অব্যাহত থাকবে।