চরফ্যাশনে চাঁদবাজির দায়ে দুই ভূয়া সাংবাদিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
ভোলা প্রতিনিধি : ভোলার চরফ্যাশনে একটি চায়ের দোকানে চাঁদাবাজি করায় দায়ে শশীভূষণের দুই ভূয়া সাংবাদিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বিকালে এ অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী চায়ের দোকানদার মো. আলাউদ্দিন (৫২)। তিনি শশীভূষণ থানার রসুলপুর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল মাজেদের ছেলে।
অভিযুক্তরা হলেন, মনপুরা উপজেলার সাকুচিয়া ইউনিয়নের মৃত জালাল আহম্মেদ ছেলে নোমান। বর্তমানে রসুলপুর ২ নম্বর ওয়ার্ডের অস্থায়ী বাসিন্দা এবং তিনি নিজকে দৈনিক ভোলা টাইমস্ পত্রিকার চরফ্যাশন প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দেন।
অপর অভিযুক্ত শশীভূষণ থানার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শহিদুল ইসলাম দুলালের ছেলে শাহাবুদ্দিন হাওলাদার। তিনি নিজকে দৈনিক মানবকন্ঠ পত্রিকার চরফ্যাশন প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দেন। তবে কিছুদিন আগে শাহাবুদ্দিনকে চাঁদবাজির দায়ে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী চায়ের দোকানদার আলাউদ্দিনের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তার চায়ের দোকান থেকে দৈনিক ভোলা টাইমস্ পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ১০ টাকায় ০২টি লজেন্স ক্রয় করে নোমান এবং লজেন্সের ডেট আছে কিনা জিজ্ঞাসাবাদ করে। তখন আমি সাংবাদিক নোমানকে লজেন্সে ডেট দেখে নেওয়ার জন্য বলি। পরে দোকান থেকে লজেন্স নিয়ে যাওয়ার ২০ মিনিট পর অর্থাৎ শনিবার ২৩ জুলাই রাত সাড়ে ১২ টার সময় দৈনিক মানবকন্ঠের প্রতিনিধি শাহাবুদ্দিন সহ তিনি একতাবদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থল আমার দোকান ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে জানায় যে, তোর দোকান থেকে লজেন্স নিয়ে আমার ছেলে-মেয়েকে খাওয়ানোর পর তারা বমি করছে। তখন আমি সাংবাদিক নোমানের ছেলে মেয়েকে দেখার জন্য তার বাড়ীতে যাইতে চাইলে সে বাড়ীতে নিতে রাজী না হয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন আমাকে। আমি গালমন্দ করতে নিষেধ করলে তারা আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে এবং আমার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা দাবী চাঁদাদাবী করে। সে টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা আমার ছেলেকে জুতা দিয়ে মারার জন্য তেরে আসে। পরে তাদের হুমকিতে ভয় পেয়ে আমি তাদেরকে ৭ হাজার টাকা প্রদান করি। টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে বলে যে আমি যদি উক্ত টাকার বিষয়ে কোনো থানা পুলিশকে জানাই তাহলে তারা আমাকে খুন করে লাশ নদীতে ভাসাইয়া দিবে মর্মে হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে আমি বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়ে থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করি।
অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি তাই বক্তব্য জানা যায়নি।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে শশীভূষণ থানার (ওসি) মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, তদন্ত পূর্বক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।