ঢাকা | জানুয়ারী ১৩, ২০২৫ - ৮:৩০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রাণ কেন্দ্র অবহেলিত তানোর এখন উন্নয়নের রোল মডেল

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Sunday, August 27, 2023 - 3:11 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 19 বার

সোহানুল হক পারভেজ (রাজশাহী): বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রাণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত অবহেলিত জনপদ ক্ষ্যাত তানোর উপজেলা এখন উন্নয়নের রোল মডেলে পরিনত হয়েছে। উন্নয়ন ঘটেছে গ্রামীন জনসাধরনের জীবন মান। তানোরে এখন আর কেউ তৈরি করেন না মাটির বাড়ি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব কেত্রেই উন্নয়ন হয়েছে চোখে পড়ার মত। তানোর উপজেলার রাস্তা গুলো বর্তমানে চকচকে ও ঝকঝকে একই সাথে শিক্সা প্রতিষ্ঠানে গড়ে তোলা বিশাল বিশাল ভবন গুলো যেন চমকাচ্ছে।

কৃষি প্রধান তানোর উপজেলায় গড়ে উঠেছে কয়েকটি কোল্ড ষ্টোর, সরকারী ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়েছে ৩টি। মডেল মসজিদ, আধুনিক প্রশাসনিক ভবন মিলনায়তনসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভবন, উপজেলা ক্যাম্পাসে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু অফিস ভবন।

উপজেলা মুক্তি যুদ্ধ কমপ্লেক্স মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে স্বাক্ষী দিচ্ছে সরকারের উন্নয়ন চিত্রের। নির্মান করা হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন। কৃষিতে যোগ হয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি। বিপ্লব ঘটেছে কৃষির উন্নয়নে।

এসব উন্নয়ন হয়েছে গত ১৫ বছরে। ১৫ বছর আগেও তানোর উপজেলায় ছিলনা একটিও কোর্ড ষ্টোর, সরকারী হয়েছিলোনা একটিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রাস্তা ঘাট গুলোও ছিলো ভাঙ্গা চুড়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো ছিলো জরাজীর্ণ।

শিক্ষার দিক থেকে রাজশাহী জেলার মধ্যে পিছিয়ে ছিলো তানোর উপজেলা। সেই তানোর উপজেলা গত ১৫ বছরের ব্যবধানে এখন রাজশাহীর মধ্যে সবার চেয়ে এগিয়ে। শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নের ফলে তানোরের ছেলে মেয়েরা জর্জ থেকে শুরু করে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারসহ বিসিএস ক্যাডারও হচ্ছেন

তানোর উপজেলায় ছিলো মাত্র ১ টি শহীদ মিনার সেটি তানোর কলেজে। বর্তমানে সেই তানোর উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই তৈরি করা হয়েছে শহীদ মিনার। প্রায় প্রতিটি মসজিদ মন্দিরসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া।

অবহেলিত সেই তানোর উপজেলার গ্রামীন জনপদ বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। তবে, সব উন্নয়ন ঢাকা পড়ছে তানোর থানা মোড়সহ গোল্লা পাড়া বাজার থেকে উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত রাস্তা প্রসস্থ না হওয়ায়।

তানোর উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক গুলো তকতকে ও ঝকঝক করার পাশাপাশি এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যাওয়ার রাস্তাগুলোর বেশীর ভাগই এখন পিচ ঢালা পথ। একই সাথে গ্রামের পাড়া মহল্লার মাটির রাস্তা গুলোর প্রায় এখন ইট ছলিং করা হয়েছে।

১৯৯১ সালের সালের আগে তানোরে ১ ইঞ্চিও রাস্তা পাকা ছিলোনা। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরে মরহুম ব্যারিষ্টার আমিনুল সাংসদ নির্বাচিত হয়ে প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে তানোরের রাস্তাঘাট পাকা করণ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন।

মরহুম ব্যারিষ্টার আমিনুল হক তানোরের উন্নয়নের কাজ শুরু করেছিলেন কিন্তু শেষ করতে পারেন নি। বর্তমান সাংসদ আলহাজ¦ ওমর ফারুক চৌধুরীর গত ১৫ বছরের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান উন্নয়নে রুপ নিয়েছে।

১৫ বছর আগে তানোরের মানুষের জীবন মানে তেমন উন্নয়নের ছোঁয়া ছিলো না, ছিলোনা গ্রামীন জনপদে আধুনিকতার ছোঁয়া। গত ১৫ বছরের উন্নয়নে তানোরের মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন ঘটার পাশাপাশি তানোর উপজেলার দৃশ্যমান উন্নয়ন এখন নজর কাড়ছে সকলের।

গত ১৫ বছরের ব্যবধানে বরেন্দ্র অঞ্চলের জনপদ তানোর উপজেলা এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে এক সময়ের অবহেলিত তানোর উপজেলা।

এলাকাবাসী বলছেন, মরহুম ব্যারিষ্টার আমিনুল হক তানোরের উন্নয়নের কাজ শুরু করেছিলেন। এর মধ্য ছিলো রাস্তাঘাট পাকা করণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, ফায়ার সার্ভিস স্থাপনসহ ২ টি পৌর সভা। ব্যারিষ্টার আমিনুল হক মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।

তার তুলনায় ফারুক চৌধুরীর উন্নয়ন কম নয়। দুই জনের উন্নয়ন চিত্র দুই ধরনের হলেও বর্তমান সরকারের আমলেই বেশী উন্নয়ন হয়েছে তানোর উপজেলায়। অবহেলিত তানোর উপজেলা বর্তমানে উন্নয়নের রোল মডেল।