ঢাকা | ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪ - ১:২১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

প্রীতির সম্পর্কে ফিলিস্তিনের হেব্রোনে শোভা পাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান সড়ক

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Wednesday, October 11, 2023 - 3:04 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 43 বার

জিয়াউল কবীর(রাজশাহী ব্যুরো):আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ সময় ১৯৭১ সালে ফিলিস্তিনের জনগণ বাংলাদেশকে পূর্ন সমর্থন দিয়েছে। তখন সেদেশের সংবাদপত্রগুলোও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতাসংগ্রামের খবর ব্যাপকভাবে প্রকাশ করেছে। খুব কম দেশই কিন্তু তখন আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল।

ফিলিস্তিনের সঙ্গে বাংলাদেশের ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক শুধু ধর্মের ভিত্তিতে নয়; আমরা যখন তাদের মতো দুর্ভোগের শিকার হচ্ছিলাম তখন ফিলিস্তিনের জনগণ আমাদের সমর্থন-সহযোগিতা দিয়েছে।
ফিলিস্তিন, বিশেষ করে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ১৯৭১ সাল থেকে। আরব দেশগুলোর বেশির ভাগই যখন দ্বিধাগ্রস্ত ছিল, তখন ফিলিস্তিন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ১৯৭৩ সালের অক্টোবর মাসে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করে। তখন বাংলাদেশ চিকিৎসা, ত্রাণসহ বিভিন্ন সহযোগিতা পাঠিয়েছিল।

বাংলাদেশ সব সময় ইসরায়েলের দখলদারির নিন্দা এবং ফিলিস্তিনের পক্ষে জোরালো সমর্থন জানিয়ে আসছে। ১৯৭৪ সালে ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বঙ্গবন্ধু ও ইয়াসির আরাফাত প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছিলেন।ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত ও বঙ্গবন্ধুর মধ্যে জোরালো সম্পর্ক ছিল। এরপর ইয়াসির আরাফাত বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ সফর করেন। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সফর করেন।

১৯৮৮ সালের ১৫ নভেম্বর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ঘোষণার পর থেকে জাতিসংঘের যে ১৩৮টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ তার অন্যতম। ১৯৮০ সালে একজন ফিলিস্তিনি যোদ্ধার ছবিসংবলিত ডাকটিকিটও প্রকাশ করে বাংলাদেশ।

২০২১ সালে ফিলিস্তিনের হেবরন শহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে।

স্বাধীন ভূখণ্ডের জন্য অর্ধশতকের বেশি সময় সংগ্রামরত ফিলিস্তিনিদের অধিকারের বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সোচ্চার ছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার পক্ষে অদ্যাবধি কথা বলেই চলেছেন বলে জানা গেছে।