কেরানীগঞ্জে সরিষার চাষ ও সরিষা ফুল থেকে ভ্রাম্যমান মধু চাষীদের মধু আহরণ
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা )প্রতিনিধি:ঢাকার কেরানীগঞ্জে ২৫৬৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে এবং সরিষা ফুল থেকে ভ্রাম্যমান মধু চাষিরা মধুআহরণ করতেছেন পর্যাপ্ত। এবং মধু চাষিরা ভালো দামে তাদের মধু বিক্রি করতে পেরে আনন্দিত অপরদিকে কৃষকরা সরিশা চাষ করে তাদের ভোজ্য তেলের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত সরিষা বাজারে বিক্রি করে সংসারের অন্যান্য চাহিদা মেটাতে পেরে তারা সন্তুষ্ট।
কেরানীগঞ্জে বারোটি ইউনিয়ন আছে তার মধ্যে নয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে ২৫৬৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। তবে এলাকার কৃষকরা জানান এই এলাকায় জমি কৃষির জন্য খুবই উর্বরযোগ্য তাই সরিষা তারা আবাদ করছেন এবং ভোজ্য তেলের চাহিদা মিটানোর জন্য ।
এ ছাড়া ভৌজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরষের তেল দিয়ে তারা ভোজ্য তেলের চাহিদা মিটিয়ে থাকেন অপরদিকে কৃষি উপ সহকারীকর্মকর্তা সাহিদা আক্তার জানান কেরানীগঞ্জে ১৫০০ কৃষকদের মধ্যে কৃষি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে এর মধ্যে হল বিনামূল্যে সার ও উন্নত মানের বীজ। কৃষকরা কেরানীগঞ্জের কৃষ অফিস থেকে বারি১৪ বারি ১৭ বিনা ১১ বিনা ৯ উন্নত মানের সরিশা বীজ কৃষকের মাঝে দেওয়া হয় । এই বীজ ভপন করে তারাভালো ফলন পায় ।
এলাকার কৃষকরা জানান তাদের সরিষা চাষে কোন সমস্যা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সহ উপসহকারী কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে এসে তাদের সমস্যা দেখে সমাধানের ব্যবস্থা করেন এতে তারা অনেক সন্তুষ্ট। তবে কিছু কিছু কৃষক অভিযোগ করেন লেবারের দাম বেশি হওয়ায় তাদের সরষে চাষে কিছু সমস্যা হচ্ছে কারণ লেবারকে রোজ ৭ থেকে ৮ শত টাকা দিতে হয়। কেরানীগঞ্জে সরিশা চাষের ফলে সরশে ফুল থেকে ভ্রাম্যমান মধু ব্যবসায়ী মোতালেব হোসেন কেরানীগঞ্জে ১৩০ টি মৌমাছির বক্স বসিয়ে মধুর ব্যবসা করছেন যাতে তার সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ মন মধু উৎপাদন হয়। এই মধু সে বিক্রি করে সপ্তাহে৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পানএবং তার খরচ আছে সপ্তাহে ১০ হাজার টাকা।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহুয়া শারমিন মুনমুন জানান কেরানীগঞ্জ ঢাকা জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা এখানে অন্যান্য ফষলের মধ্যে সরিষা চাষ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল এবং ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সর্ষের তেল ভোজ্য তেল হিসেবে ব্যবহার করে বৈদেশিক আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরিষা চাষ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই জন্য তিনি শরিসা চাষের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন ।তিনি আশা করেন ভবিষ্যতে কেরানীগঞ্জে সরষের চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে এবং ভোজ্য তেলের চাহিদা সরিশা তেল দিয়ে পূরন করা হবে ।