মির্জাপুরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ছোট বড় ১৪ টি দোকান পুড়ে ছাই
মোঃ রুবেল মিয়া স্টাফ রিপোর্টারঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১৪টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সোমবার (১৬ জুলাই) রাত সারে ৩ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন দোকান ব্যবসায়ীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সারে ৩ টার দিকে মাতৃভাষনালয় দোকানের পেছনের দিকে প্রথমে ধোঁয়ার সূত্রপাত হয়। পরে মুহূতের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে মির্জাপুর ফায়ার সার্ভিসের ২ টি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পল্লীবিদ্যুতের গাফলতির কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগে বেশী। বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করার জন্য ফায়ার সার্ভিস মির্জাপুর পল্লীবিদ্যুতের ডিজিএম,এজিএম, পল্লীবিদ্যুতের জরুরী সেবা কেন্দ্রে ফোনে একাদিক বার চেষ্টা করেও কোন লাভ হয় নি।
ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১৪ টি দোকানের মধ্যে দক্ষিণ পাশে একুশে জুয়েলারী ঝন্টু কর্মকার, লিপি জুয়েলারী পংকজ গোপ ,অপর্ণা জুয়েলারীর অখিল কর্মকার ও পাল টেইলার্স এবং সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মাতৃবাসনালয়ের ও আরএফএল প্লাস্টিক ডিলারের মালিক নীল কমল দে। তারই ভাতিজা কানাই বালাই দৈনিক নবোদয় পোর্টাল কে বলেন, এই দোকানে গতকালকেও ৩০ লাখ টাকার মালামাল ঢুকানো হয়েছে। তামা, কাসা, সিরামিক, সিলবার, এলুমিনিয়াম,গীফট সামগ্রী বিক্রী করত। এতে প্রায় ৮৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রশাসন কে জনান।
এছাড়াও উওর পাশে, কার্তিক পালের চায়ের দোকান, লেবু মিয়ার চায়ের দোকান,আলমগীর হোসেন কাচাঁমালের দোকান,আব্বাস মিয়া মসলার দোকান,মদন মন্ডল মসলার দোকান ,,বিশ্বজিত সরকার কাচাঁমালের দোকান, আব্দুল হাই কাচাঁমালের দোকান , এছাক সিকাদার কাচাঁমালের দোকান, আমিনুরের মসলা ও কাচাঁমালের দোকানের সমস্ত মালামার নস্ট হয়।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মো.বেলায়েত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ভোর ৪ টা ১০ মিনিটে আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করি। ফায়ার সার্ভিসের মির্জাপুর থেকে দুটি এবং দেলদুয়ার থেকে আর দুটি মোট ৪ টি ইউনিট দুই ঘণ্টা কাজ শেষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।