পটুয়াখালীর বাউফলে ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান পদ নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপে মারামারি!
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন), পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার ৪নং সূর্যমণি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান পদ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে মারমারির ঘটনা ঘটেছে।
অদ্য ০৫.সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার সময় উপজেলা পরিষদে এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে সূর্যমণি ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন বাচ্চু আত্মগোপনে রয়েছে। এতে পরিষদের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। পরিষদের কার্যক্রম সচল করতে উপজেলা প্রশাসন নতুন প্যানেল চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত নেন। প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির দুই পক্ষের বিরোধ দেখা দেয়। প্যানেল চেয়ারম্যান পদে ইউপি সদস্য (৯নং ওয়ার্ড) বশার মালকে সমর্থন দেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক মো. মাহবুব জোমাদ্দার ও উপজেলা যুবদলের সদস্য ও ইউপি সদস্য ( ১নং ওয়ার্ড) মো. ফারুক হোসেনকে সমর্থন দেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক গোলাম ফারুক মিন্টু।
এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনও কার্যালয়ে প্যানেল গঠনে ইউপি সদস্যদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৯জন ইউপি সদস্য ভোটপ্রদান করেন। যার মধ্যে উভয়ই ভোট পান। একটি ভোট বাতিল হয়। সমান ভোট পাওয়ায় লটারির মাধ্যমে প্যানেল চেয়ারম্যান গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে বশার মাল তা মানতে রাজি হন না। এনিয়ে উপজেলা পরিষদ ভবনে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবি বাকবিটঙ্গা ও মারামারির ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ উঠে, সূর্যমণি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক মাহবুব জোমাদ্দার তার লোকজন নিয়ে উপজেলা যুবদলের সদস্য ও ইউপি সদস্য ফারুক হোসনকে মারধর করেন।
এদিকে এদিন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পৌরশহরের জাহাঙ্গীর টাওয়ারে মারধরের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ফারুক হোসেন। সাংবাদিক সম্মেলনে সূর্যমণি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক মাহবুব জোমাদ্দারের বহিষ্কার দাবি করেন তিনি।
ওই সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- সূর্যমণি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক গোলাম ফারুক মিন্টু, উপজেলা বিএনপির সদস্য তরিকুল ইসলাম মস্তফা, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম হাওলাদার ও মো. শাহবুদ্দিন। তারও মাহবুব জোমাদ্দারের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শাস্তির দাবি তুলেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মাহবুব জোমাদ্দার বলেন,‘এসব অভিযোগ মিথ্যা। আমি বা আমার লোকজন কাউকে মারেনি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজী বলেন,‘ দুই পক্ষের মতানৈক্যের কারণে নতুন প্যানেল গঠন করা সম্ভব হয়নি। আগের প্যানেলই বহাল থাকবে।