নড়াগাতিতে রাজিব শেখের মাদকের রমরমা ব্যবসা।
কালিয়া ( নড়াইল) প্রতিনিধিঃ নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি এলাকায় মাদকের রমরমা ব্যবসা চলছে। আর হাতের নাগালে সহজে মাদক পেয়ে অত্র এলাকায় দিনদিন মাদক সেবীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাদক সেবীরা নেশার টাকা জোগাড় করতে নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নড়াগাতি থানার বাঐসোনা ইউনিয়নের চর ডুমরিয়া (কেকানিয়া) গ্রামের পুলিশ সদস্য মোঃ ফুরকান শেখের ছেলে রাজিব শেখ। রাজিব শেখ দীর্ঘ দিন ধরে ইয়াবার ব্যবসা করে আসছে। সে সময় বুঝে কৌশল পরিবর্তন করে মাদক বেচাকেনা করে যাচ্ছে। প্রতিদিন সকাল থেকে মাদক সেবীদের আনাগনা শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত চলে। এছাড়া প্রশাসনের ঝামেলা এড়াতে তিনি মাদক সেবনকারীদের নিকট মোবাইলফোনে অর্ডার নিয়ে মাদক বিক্রি করেন। রাজিব নিজে টেকনাফ যায় এবং টেকনাফ থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে এসে নড়াগাতি থানার বিভিন্ন এলাকায় সাল্পাই দেয়।
আরো জানা যায়,টেকনাফ থানার নিলা গ্রামের রিদুয়ান এর কাছ থেকে ইয়াবা ক্রয় করে নিয়ে আসে।ব্যাবসায়ী পার্টনার হিসাবে রাজিবের বাড়িতে টেকনাফের শীষ্য মাদক ব্যবসায়ী রিদুয়ান ও তার পরিবারের যাতায়েত রয়েছে। আর রাজিবের এই মাদক ব্যাবসার সহযোগীতায় রয়েছে তার বাবা মোঃ ফুরকান শেখ বলে জানা যায়।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক রাজিবের এক নিকট আত্মীয় জানান,রাজিবের বাবা পুলিশের চাকুরি করার সুবাদে প্রভাব খাটিয়ে ইয়াবার ব্যাবসা করে যাচ্ছে। বাবার সহযোগীতায় ছেলে করছে মাদক ব্যাবসা। রাজিবের মাদক ব্যাবসায় তার দুলাভাই বাধা দেওয়ায় তার সাথে দ্বন্দ শুরু হয়।
সম্প্রতি মাদক ব্যাবসায়ী রাজিব টেকনাফ ইয়াবার চালান আনতে যায় রাজিবের পার্টনার রিদুয়ানের বাড়িতে। এই সুযোগে মাদক ব্যাবসায় বাধা দেওয়া জামাইকে ফাঁসানোর জন্য জামাইয়ের নামে নড়াগাতি থানায় রাজিবকে কিটন্যাপ করার মিথ্যা জিডি করে রাজিবের বাবা মোঃ ফুরকান শেখ। জিডি করার দুইদিন পরে টেকনাফ থেকে ইয়াবা নিয়ে বাড়ি আসে রাজিব।
প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাজিব শেখ চালাচ্ছে রমরমা মাদক ব্যবসা। নড়াগাতি থানার মাদকের গডফাদার রাজিব শেখ।
গত বছরে ১০০ পিস ইয়াবাসহ গোপালগঞ্জ ঘোড়াদাড় খেয়াঘাট থেকে গোপালগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ রাজিবকে আটক করে।