আরিফুল ইসলাম মহিন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :

চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ সহ হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি গোপিনাথ ত্রিপুরা (২২) কে গ্রেফতার করেছে খাগড়াছড়ি পুলিশ।

২৮ নভেম্বর বিকেলে সদর থানার এসআই মোঃ মোজাম্মেল হক এর নেতৃত্বে সংগীয় অফিসার ফোর্সসহ স্থানীয় জনগনের সহায়তায় জেলার পেরাছড়া ইউনিয়ন থেকে আসমীকে আটক করা হয়।

২৯ নভেম্বর (শুক্রবার)  বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার  মোঃ আরেফিন জুয়েল।

সে জেলার পেরাছড়া ইউপির মাইল কালা পানি ছড়া এলকার অলদ মোহন ত্রিপুরার ছেলে।

পুলিশসূত্রে জানা যায়, মেরিনা ত্রিপুরা (১৬) ২৭ নভেম্বর বিকালে তার মোবাইলে টাকা রিচার্জ শেষে দোকান হতে বাসায় ফেরার সময় পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা আসামি ভয় দেখিয়ে তার চোখ, মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক জেলার পেরাছড়া

ইউনিয়নের ০৫ মাইল যৌথ খামার নওবিক্রমের বাগানের বিপরীত পাশে খাগড়াছড়ি টু দীঘিনালা সড়কের উত্তর-পশ্চিম পাশে জঙ্গলের ভিতর নিয়ে মাটির উপরে ধর্ষণের চেষ্টাকালে বাধা প্রদান করিলে আসামি মেয়েটিকে গলায় চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এতে মেয়েটির নাক দিয়ে রক্ত পড়া শুরু করে পরে আসামি মেয়েটির গলা, নাক, মুখ ও ডান পায়ের রানে উপর্যুপরি কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে জখম করে তাহার পরনের সেলোয়ার ও জামা কাপড় খুলে জোরপূর্বক মেয়েটির সাথে  ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাহাকে ধর্ষণ করে।

ধর্ষণ শেষে  মেয়েটিকে গলায় চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করলে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে যায়। মারা গিয়াছে মনে করে ঘটনাস্থলে  মেয়েটিকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে মেয়েটিকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত ২৫০শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল খাগড়াছড়িতে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে মেয়েটি হাসপাতালে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীব রহিয়াছে।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার  মোঃ আরেফিন জুয়েল বলেন, খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মামলার ঘটনার সরাসরি জড়িত আসামীকে দ্রুততম সময়ে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে বিধি মোতাবেক যথাসময়ে সোপর্দ করা হবে।

আসামীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন। ভবিষ্যতে অনুরূপ যে কোন অপরাধের ক্ষেত্রে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ যথাযথ আইনের প্রয়োগ ঘটিয়ে জেলার আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সদা সচেষ্ট।