নারায়ণগঞ্জে গাজী টায়ারসে অগ্নিকান্ডে নিখোঁজ স্বজনদের সড়ক অবরোধ।
নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ারস কারখানায় হামলা, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিখোঁজ পরিবারের সদস্যরা সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। নিখোঁজ পরিবারের সদস্য নারী ও শিশুরা নিখোঁজদের ছবি হাতে নিয়ে সকাল ১১ টা থেকে ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে করে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। পরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ইউএনও জাফর সাদিক চৌধুরী ঘটনাস্থলে এসে নিখোঁজ স্বজনদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেন। পরে নিখোঁজ স্বজনরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
নিখোঁজ স্বজনরা বলেন, গত ২৫ অগাস্ট রাতে রূপগঞ্জে গাজী টায়ারস কারখানায় হামলা, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর থেকে তাদের পরিবারের সদস্যরা নিখোঁজ রয়েছে। ৪ মাস হয়ে আসলেও তাদের কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছেনা। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি নিখোঁজ থাকায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। প্রশাসনের লোকজন বলছে তারা বেঁচে নেই। কিন্তু তাদের লাশ কিংবা দেহাবশেষ কিছুই দিচ্ছে না। আমরা পরিবারের নিখোঁজদের সন্ধান চাই।
একজন স্বজন জানান, নিখোঁজদের মোবাইল ফোন নাম্বারে কল করা হলে তাদের ফোন বাজছে। কিন্তু কেউ কল রিসিভ করছেনা। এ বিষয়ে প্রশাসনকে বলার পরেও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, গাজী টায়ারসে আগুনের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই তদন্ত কমিটি ১৮২ জন নিখোঁজের একটি তালিকা তৈরী করেছে। তাদের ভাগ্যে আসলে কি ঘটেছে সেটা যাচাই বাছাই করার জন্য পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, গাজী টায়ারসে আগুনের ঘটনায় একটি জিডি দায়ের হয়েছিল এবং জেলা প্রশাসনের একটি তদন্ত কমিটিও প্রতিবেদন দিয়েছে। সে বিষয় নিয়ে আমাদের তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ডিএনএ প্রতিবেদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানানো হবে।