ঢাকা | জানুয়ারী ৫, ২০২৫ - ৯:০০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

২১ কোটি টাকার কাজে অনিয়মের অভিযোগে রাসিকে দুদকের অভিযান

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Friday, January 3, 2025 - 4:22 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 5 বার

জিয়াউল কবীর স্বপন: রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) সংস্কার কাজে অনিয়ম বিষয়ে নগর ভবনের প্রকৌশল শাখায় এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইনের নেতৃত্বে এই এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে ছিলেন দুদকের সহকারী পরিচালক তানভীর আহমেদ সিদ্দীক এবং উপসহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান অভিযান শেষে দুদক জানিয়েছে, কাজ ইতোমধ্যে অর্ধেক শেষ হয়ে গেছে। বেশিরভাগ কাজের ঠিকাদার নির্বাচন সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখাতে পারেনি সিটি করপোরেশন। আবার যেসব কাগজ দিয়েছে তার একটি যাচাইয়ের জন্য ঠিকাদারের মোবাইল নম্বর হিসেবে উল্লেখ থাকা নম্বরটিতে ফোন করে দুদক দেখেছে, নম্বরটি কোন ঠিকাদারের নয়। তিনি চাঁদপুরের এক ব্যক্তি।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর সিটি করপোরেশনের ক্ষয় ক্ষতি বাবদ ২১ কোটি ১১ লাখ ৬৫ হাজার ৪৯ টাকার কাজে নিয়ম-নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও নগরের দড়িখড়বোনা এলাকার বিএনপি নেতা ইয়াহিয়া খান মিলু সিংহভাগ কাজ করছেন। ইতোমধ্যে নগর ভবনের রং করার কাজ শেষ হয়েছে। লাগানো হয়েছে নতুন গ্লাস। এখন প্রায় ৫০ লাখ টাকা খরচ করে মেয়রের দপ্তর সংস্কার করা হচ্ছে। তবে কাজের কোন টেন্ডার হয়নি। ‘কোটেশন মেথোডে’ কাজ করার কথা বললেও কাগজপত্রই প্রস্তুত করতে পারেনি নগর ভবন।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুদক কর্মকর্তারা অভিযানে গেলে দীর্ঘ সময় তাদের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে বসিয়ে রাখা হয়। পরে বিল দেওয়া হয়েছে এমন তিনটি কাজের কাগজপত্র দেওয়া হয় দুদক দলকে। আর চলমান সাতটি কাজের কোন কাগজপত্রই সরবরাহ করতে পারেননি প্রধান প্রকৌশলী। কার্যাদেশ ছাড়াই ঠিকাদার কীভাবে কাজ করছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

দুপুরে অভিযান শেষে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন বলেন, তারা ফরিদা ইয়াসিমন, মাইসা এন্টারপ্রাইজ এবং শাহরিন এন্টারপ্রাইজ নামের তিনটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাগজ পেয়েছেন। মাইসা এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী ইয়াহিয়া খান মিলু। শাহরিন এন্টারপ্রাইজের কাগজপত্রে স্বত্ত্বাধিকারী হিসেবে এমএম মাহফুজুর রহমান নাম লেখা আছে যা অনিয়ম বলে বিবেচিত হবে