মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের প্রতিবাদে সোনাইমুড়ী প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন

আবু বকর ছিদ্দিক নোয়াখালী থেকেঃসাংবাদিক সম্মেলনে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের প্রতিবাদে সোনাইমুড়ী প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়।
বুধবার (২৬ মার্চ) বিকেলে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার বিহিরগাঁও গ্রামের এবাদ উল্লাহ মাস্টারের ছেলে মোহাম্মদ জাকির হোসেন সোনাইমুড়ী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান, আমি একজন প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধা। পারিবারিক ও খরিদ সূত্রে আমি প্রায় ১০৪ শতাংশ জমিনের মালিক রয়েছি। সরকারী আইন অনুযায়ী উক্ত সম্পত্তি আমার নিজ নামে জমাখারিজ খতিয়ান সৃজন করিয়া সরকারি খাজনা পরিশোধ করে আসতেছি।
অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন সম্পর্কে আমার ভাতিজা হয়। উক্ত মামুন অন্যায় ভাবে আমার সম্পত্তি জবরদখল করে। সে আমাকে, আমার স্ত্রী, আমার ভাতিজা একেএম সাইফুল ইসলাম লাভলু ও আমার শ্যালক আবুল হোসেন খোকনকে মেরে ফেলার লক্ষ্যে গত ২৫শে মার্চ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৭ টায় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে আমার বাউন্ডারি ওয়াল ও আমার ভাতিজা লাভলুর বাড়িতে হামলা চালায়। উক্ত মামুন বিগত আওয়ামী লীগের আমলের শীর্ষ সন্ত্রাসী শিপনের বিশ্বস্ত সহযোগী। তার বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ি থানায় চাঁদাবাজি, অস্ত্র ও ছিনতাই এর একাধিক মামলা রয়েছে। বিগত ৫ আগস্টের পর কিছুদিন গা-ঢাকা দিয়ে সে বর্তমানে প্রকাশ্যে পূর্বের আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমিশাপাড়া এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। সে যুবলীগের আমিশা পাড়া ইউনিয়ন শাখার আহ্বায়ক।
আমি একজন প্রবাসী হওয়ায় আমার এলাকায় তেমন কোন লোকজন নেই। আমি সামাজিকভাবে উক্ত সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে বিচার ও সালিশের চেষ্টা করি। কিন্তু উক্ত সন্ত্রাসী পরিকল্পিতভাবে আমিশাপাড়া ঈদগাঁ সংলগ্ন আমার খরিদকৃত ১৩ শতাংশ জমিনটি দখল করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে এবং দুটি জাল দলিল সৃজন করে।
বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, সে আমার স্ত্রীকে বিদেশ যেতে দিবে না মর্মে হুমকি প্রদান করে আসছে এবং আমার ভাতিজা লাভলু কে প্রাণে মেরে ফেলবে মর্মে সন্ত্রাসী ভাড়া করে। আমি আপনাদের মাধ্যমে সরকার ও প্রশাসন এবং দেশবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ ও আইনি সহযোগিতা কামনা করছি।