মীর শাকের আলীর অনিয়ম-দুর্নীতির কাছে জিম্মি ঠিকাদাররা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি: ৫ আগষ্টের পটপরিবর্তনের পর আত্মগোপনে থাকা দক্ষিনাঞ্চলের জিকে শামিম মিরাজ-মহারাজের লুটপাটের ১৩ সহযোগীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলেও বহাল তবিয়তে থাকা মীর শাকের আলীর অনিয়ম-দুর্নীতির কাছে জিম্মি ঠিকাদাররা।
দক্ষিনাঞ্চলের জিকে শামিম খ্যাত আলোচিত ৫ আগষ্টের পরে পালিয়ে যাওয়া মিরাজ-মহারাজদের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটে জড়িত কয়েক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও অনেকেই রয়েছেন এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে। এদেরই একজন পটুয়াখালী এলজিইডি ‘র সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মীর সাকের আলী।
জানা যায়, পিরোজপুরের মিরাজ মহারাজদের হাতধরে দুর্নীতিতে পা রাখা মীর আলী শাকের অনিয়ম ও দুর্নীতিতে হাবুডুবু খাচ্ছে পটুয়াখালী এলজিইডি। টাকার বিনিময়ে পিরোজপুরের ইফতি বরেন্দ্র,রানা কহিনুরসহ একই লাইসেন্সে শত শত কোটি টাকার কার্যাদেশ প্রদানসহ টেন্ডার বানিজ্য আর ঘুষ আর কমিশন বানিজ্যে করে পকেটে ভরেছেন কোটি কোটি টাকা।
তার কাছে জিম্মি পটুয়াখালীর সাধারণ ঠিকাদাররা। এসব দুর্নীতির অভিযোগে তাকে বারবার বদলি, স্ট্যান্ডরিলিজ করা হলেও আদেশ স্থাগীত করে ধরাকে সরা জ্ঞান করে চালিয়ে যাচ্ছেন সকল অনিয়ম দুর্নীতি। পটুয়াখালী এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলীর ক্রালগ্রাস থেকে রেহাই পেতে সাধারণ ঠিকাদাররা স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা, প্রধানকৌশলী ও দুদক সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ ও আদালতে মামলা করেও কোন ফল পাচ্ছেন না।
কয়েক জন সাধারন ঠিকাদারের সাথে কথা বলে জানাগেছে,শাকের আলীর চাহিদা মত কমিশন না দিলেই নানা হয়রানীর শিকার হতে হয় সাধারন ঠিকাদারদের। পটুয়াখালী এলজিইডিকে দুর্নীতির আতুর ঘরে পরিনত করলেও এনিয়ে টু শব্দ করার সাহস নেই কারো। লাগামহীন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগকে থোরাই কেয়ার করে দুইবারেই বদলীর আদেশ বন্ধ করে বহাল তবিয়াৎ থাকা পটুয়াখালী এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মীর সারের আলীর আসলে খুটির জোর কোথায়।