খাগড়াছড়িতে ফুল বিজুর সংবাদ সংগ্রহে সংবাদকর্মীদের বাধা

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়িতে চাকমা সম্প্রদায়ের ফুল বিজুর সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে বাধার মুখে কাজ করতে পারেননি স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা। শনিবার ভোর থেকে জেলা সদরের চেঙ্গী নদীর বিভিন্ন অংশে এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সাংবাদিকরা।
সরেজমিনে জেলা সদরের চেঙ্গী নদীর খবংপুড়িয়া অংশে গিয়ে দেখা যায়, লাল কাপড়ে সংবাদকর্মীদের নো অ্যালাউ সহ নানা বার্তা দিয়ে ব্যানার ছাটানো হয়। সূর্যোদয়ের পর থেকে অনেককে ফুল হাতে বাহারী পোষাকে এ ঘাটে আসতে দেখা গেলেও বেশ কিছু যুবক ও কিশোর তাদের নদীতে নামতে দেয়নি।
যেখানে সংবাদকর্মী আছে সেখানে ফুল দিয়ে প্রার্থনা না করে সামনে যেতে শোনা যায়। এ সময় নদীর পাড়ে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলির শব্দও শোনা যায়। এরপর সাধারণ পাহাড়ীরা খবংপুড়িয়া ঘাট ছেড়ে রিভার ভিউ পয়েন্ট ও চেঙ্গী সেতু অংশে গিয়ে ফুল বিজুর আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন।
কেন সাংবাদিকদের উৎসবের সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেয়া হয়েছে তার উত্তর দেয়নি কেউ। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয় গেল বছর পাহাড়ে সংঘটিত ঘটনার কভারেজ দেয়নি মিডিয়া গুলো, তাই উৎসবে গণমাধ্যম বর্জন করা হচ্ছে।
কিন্তু সাংবাদিকদের দাবি সব ধরণের সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচার করার পরও স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে এ অভিযোগ করা হচ্ছে। খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি তরুণ ভট্টাচার্য বলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেয়া অনাকাঙ্ক্ষিত।
উৎসবের খবর সংগ্রহে আমরা যেভাবে ছুটে এসেছি ঠিক অন্য সময় গুলোতেও আমরা ছিলাম। কাদের ইন্ধনে যুবক ও কিশোররা এমন আচরণ করছে তা খুঁজে দেখা দরকার।
খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি তরুণ কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘পার্বত্য তিন জেলার গণমাধ্যমকর্মীরা যে কোনো সম্প্রদায়ের উৎসব আয়োজন কিংবা সুখে দুঃখে সমানভাবে অংশীজন হিসেবে থাকেন। তবে কোনো কারণ ছাড়াই অহেতুক পেশাজীবী সাংবাদিকদের সঙ্গে এমন আচরণ অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একটি স্বার্থান্বেষী মহল সাংবাদিকদের উসকে দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে।’
প্রসঙ্গত, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর বর্ষ বিদায় ও বরণ উৎসবে বর্ণিল হয়ে উঠে এ জনপদ। যা দেখতে প্রতিবছর ছুটে আসেন হাজারও পর্যটক।