মান্দায় পারিবারিক বিরোধে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন এলজিইডি অফিস কার্যসহকারী
নিজস্ব প্রতিনিধি : নওগাঁর মান্দায় পূর্ব শত্রুতা এবং পারিবারিক বিরোধের জেরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি দপ্তর,মান্দা) এর কার্যসহকারী দেলোয়ার হোসেন নামে একজনকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন তিনি।
ভূক্তভোগী ৫নং গণেশপুর ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল হামিদ প্রামানিকের ছেলে।
একই এলাকার মৃত বাছের আলী সরদার (মহুরী) এর ছেলে মেহেদী হাসান (বাবু) নামে এক প্রভাবশালী দীর্ঘদিন থেকে তাকে বিভিন্নভানে হেনেস্থাকরাসহ হত্যার উদ্দেশ্যে পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ভূক্তভোগী’র দাবি যে, তার দাপ্তরিক কাজের সুবাদে বিভিন্ন সময় তাকে মান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করতে হয়। এমনকি কাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় অধিকাংশ দিনই অনেক রাত হয়ে যায়। রাতের অন্ধকারে বাড়ি ফেরার সময় বেশ কয়েকবার তাকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। শুধু তাই না; বেশ কিছুদিন আগে নিজ বাড়ি থেকে নওগাঁ সরকারি কলেজে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে গিয়ে ওই প্রভাবশালীর প্রত্যক্ষ মদদে এবং তার উপস্থিতিই তারই মদদপৃষ্ঠ ভাড়াটিয়া গুন্ডাবাহিনীর দ্বারা হেনেস্থার স্বীকার হয়ে মৃত্যুর মুখোমুখী হওয়া স্বত্ত্বেও কোনমতে নিজের জীবন নিয়ে ফিরে আসেন। এরপর একদিন ভূক্তভোগীর বাড়িতে ভূয়া ডিবি’র পরিচয়ে সর্বহারার দল দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ভয়ভীতি দেখানো হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি নওগাঁ ডিবি অফিসে জানান ভূক্তভোগী। ডিবি অফিসে জানানোর পর কর্তৃপক্ষ তাকে জানায় যে, তিনি তো কোন অপরাধের সাথে জড়িত না বা তার বিরুদ্ধে তো কোন অভিযোগ নেই; যে তার বাড়িতে ডিবি পুলিশ যাবে। এটি হতেই পারে না। বরং তারা পরামর্শ দেন যে, কে অথবা কাহারা মিথ্যা পরিচয়ে বাড়িতে হানা দিয়েছে; বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে তাদেরকে অবগত করলে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে পারতেন।
সম্প্রতি মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি থেকে উপজেলার প্রসাদপুর এলজিইডি অফিসে যাওয়ার পথে সাতবাড়িয়া এবং ফেরিঘাটের মাঝখানে নওগাঁ- রাজশাহী মহাসড়কের শাপলা ফিলিং ষ্টেশন এলাকায় পৌঁছালে শত্রুতামূলকভাবে একটি নোহা গাড়ি দিয়ে চাপা দিয়ে মেরে ফেলার জন্য চেষ্টা করা হয়।
বর্তমানে তিনি এবং তার পরিবারের লোকজন চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এছাড়াও তাকে বিভিন্নভাবে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পাকড়াও করতে একের পর এক প্রতিবন্ধকতা চালিয়ে যাচ্ছেন ওই প্রভাবশালী বাবু।
প্রতিনিয়ত শত্রুপক্ষের মেহেদী হাসান বাবু’র রোঁষানলে পড়তে হচ্ছে ওই কার্যসহকারীকে।
বিষয়টি মান্দা উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী,আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু- বান্ধব,প্রতিবেশী এবং স্থানীয় প্রশাসন অবগত আছেন বলে জানান ভূক্তভোগী।
এর থেকে পরিত্রাণ পেতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি।