ঢাকা | ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪ - ৮:২৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

গৌরীপুরের রামগোপালপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজ্জাক ভূঁইয়ার ব্যাপক গণসংযোগ

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Thursday, December 24, 2020 - 3:32 am
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 275 বার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ৭নং রামগোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ইউনিয়ন কে মাদকমুক্ত, উন্নত সমৃদ্ধ ও দৃশ্যমান ইউনিয়ন হিসাবে উপহার দিতে চান ইউনিয়নের বিশিষ্ট সমাজ সেবক আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে রাজপথের ত্যাগী ও সাহসী যোদ্ধা, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও মেধাবী রাজনীতিবিদ আব্দুর রাজ্জাক ভূঁইয়া (বি.এ)।

যিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া তর্ণমুলের একজন জনবান্ধব আওয়ামী লীগ নেতা। তৃর্ণমুলের একজন কর্মীই বুজবে তৃর্ণমুলের ব্যাথা বেদনা, সে কারণে প্রার্থী হিসাবে আলোচনায় রয়েছেন তিনি। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে নেতৃত্ব দিয়ে সমাজ সেবায় ভূমিকা রেখে ইউনিয়নে ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেছেন। আব্দুর রাজ্জাক ভূঁইয়া একাধারে একজন সমাজ পতি, রাজনীতিবিদ,সালিশ ব্যাক্তিত্ব এবং ক্রীড়া সংগঠক ও বটে। বর্তমানে তিনি ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাধারন সম্পাদক পদে দায়িত্বে থেকে রাজনীতির পাশাপাশি মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থেকে নিজেকে একজন জনবান্ধব নেতা হিসাবে গড়ে তুলেছেন। চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসাবে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের সাথে ধারাবাহিক মতবিনিময়, লিয়াজো -যোগাযোগ রেখে মানুষের দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশার করে যাচ্ছেন।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শের গুনান্নিত এই নেতা রাজপথে সাহসীকতার সাথে আন্দোলন লড়াই-সংগ্রামে রাজনীতিতে থেকে ইউনিয়নের বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর মানুষকে আওয়ামীলীগের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ করছেন । তিনি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্কুল, মসজিদ,মাদ্রাসা ও মন্দিরের বিভিন্ন উন্নয়ন মোলক কাজে নিজ অর্থায়নে সহযোগিতা করাসহ হতদরিদ্র মানুষের সেবা করে যাওয়ার মাধ্যমে আওয়ামীলীগের ভাবমুর্তিকে উজ্জল করার চেষ্টা করছেন ।

সমাজ সেবায় তিনি ছাত্রজীবন থেকেই নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে জড়িত হওয়ার পর থেকে প্রতিটি গ্রাম,ওয়ার্ড পর্যায়ে দলীয় কার্যক্রমকে প্রসারিত করতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন সাবেক এই ছাত্র নেতা। ফলে ইউনিয়নের সর্বমহলে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তার পক্ষে শুরু হয়েছে ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনা,মতবিনিময় সভা ও গণসংযোগ। জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন দূরদর্শী কর্মী, শীর্ষ অন্যান্য নের্তৃত্বের অন্যতম নেতা আব্দুর রাজ্জাক ভূঁইয়া। ইউনিয়নবাসীর মতে- আব্দুর রাজ্জাক ভূঁইয়া একজন নিঃস্বার্থ দেশপ্রেমিক, দানশীল ব্যাক্তি, জন-দরদী, দরিদ্র অসহায় মানুষের বন্ধু, নি:স্বার্থ সমাজ সেবক, সহজ-সরল ও সাদা মনের মানুষ, ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ। তিনি বর্তমানে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে জনপ্রিয় সফল রাজনীতিবিধ।

চলমান করোনা মহামারীতে মানুষ যখন ঘরবন্দী হয়ে অনাহারে দিন কাটাচ্ছিলো ঠিক সেই সময়ে মানবতার ফেরিওয়ালা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সহস্রাধিক মানুষের মাঝে খাদ্য ও নগদ অর্থ সহায়তাসহ স্বাস্থ্যসেবায় গণসচেতনতা গড়ে তুলেছেন জনবান্ধব এই নেতা । বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু”র কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শান্তি, গনতন্ত্র, উন্নয়ন অগ্রগতি দুর্নীতি ও মাদক মুক্ত রাষ্ট্র সমাজ বিনির্মাণে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার ” গ্রাম হবে শহর ” বাস্তবায়নে আর্থসামাজিক গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার উন্নয়নে প্রচুর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

তবে ইউনিয়ন বাসীর মতে-রামগোপালপুর ইউনিয়নের রাস্তা-ঘাট বিগত দিনে যেমনটি ছিল, ঠিক তেমনই আছে। তবে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক ভূঁইয়া বলেন-আমি ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে মুজিব কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার দেওয়া বরাদ্ধ কাজে লাগিয়ে অত্র ইউনিয়নকে একটি পরিকল্পিত উন্নয়নের রুল মডেল হিসেবে জনগণের নিকট তুলে ধরব। জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উদ্যোগ গ্রহণ করব।

কর্মসৃজন কর্মসংস্থান প্রকল্পসহ গ্রামীণ অবকাঠামোগত সংস্কার উন্নয়ন অর্থ্যাৎ সকল রাস্তাঘাট পাকাকরণ, পুল কালবার্ড ব্রীজ নির্মাণ, শিক্ষার মানোন্নয়ন, প্রতিযোগীতামূলক খেলাধুলার চর্চা, বাল্য বিবাহ বন্ধসহ নারী জাগরণে উদ্যোক্তা সৃষ্টি, বেকারদের কর্মসংস্থান, দূর্নীতিমুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ গঠন, শতভাগ বয়স্ক বিধবা প্রতিবন্ধী ভাতা বিতরণ, ধর্মীয় ও সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসার উন্নয়ন এবং সর্বোপরি রামগোপালপুর ইউনিয়নে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির উন্নত, সুখী-সমৃদ্ধ, আধুনিক দৃশ্যমান মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হব ইনশাল্লাহ।

তিনি বলেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দল যদি আমাকে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দান করেন, আমি আমার সাংগঠনিক কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে নিষ্ঠার সাথে দল, এলাকা ও দেশের জন্য কাজ করব এবং তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখতে পারব বলে মনে করি এবং নির্বাচনে জয়ী হয়ে জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন গঠাবো । তৃর্ণমুলের কর্মী হিসাবে আমিই বুজবো তৃর্ণমুলের নেতা-কর্মীদের দুঃখ-বেদনা। তাই সব কিছু বিবেচনা করে দল তাকে মনোনয়ন দিবে বলেও তিনি বিশ্বাস করেন তিনি।

বঙ্গবন্ধর আদর্শের সৈনিক রাজপথ কাপানো এই নেতা ছাত্রজীবনে থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন, তিনি রামগোপালপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও পরবর্তীতে গৌরীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন ছাড়াও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য পদে সফল ভাবে দায়িত্ব পালন করায় পরবর্তীতে তাকে ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের যুগ্ম আহবায়ক পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়,বর্তমানে তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হিসাবে দায়িত্বে আছেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে গিয়ে তাকে অনেক অত্যাচার নির্যাতন জুলুম সহ্য করতে হয়েছে,তবুও তিনি দলের হাল ছাড়েন নি। তিনি জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত জাতির জনকের আদর্শ বুকে লালন করে জনসেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে চান।