রাজশাহীর আড়ানীতে আ.লীগ’র দুইগ্রুপে সংঘর্ষ, আহত.১৩
লিয়াকত রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত বুধবার রাতে আওয়ামী লীগের দলীয় এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দফায়-দফায় সংঘর্ষ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আড়ানীর ঐতিহাসিক তাল তলায় দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাটাখালি পৌর সভার নবাগত মেয়র আব্বাস আলী পথসভায় যোগ দেন।
উক্ত পথসভায় এক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে বলে স্থানীয় লোকজন জানান।
এ ঘটনায় পিস্তলের প্রায় ৬ রাউন্ড ফঁাকা গুলি এবং ৮-১০টি ককটেল বিস্ফরণ করা হয় বলে দাবি করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। আহত হন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শহীদুজ্জামান শাহীদ এর সমর্থক ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী বর্তমান মেয়র মুক্তার আলীর সমর্থকসহ প্রায় ১৩ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার শাহিন রেজা ও চারঘাট-বাঘা সার্কেলের সিনিয়র (এএসপি) নুরে আলম এবং রাজশাহী থেকে র্যাব যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
আ’লীগ দলীয় প্রার্থী শহীদুজ্জামান শাহীদ জানান, আহতরা তঁার সমর্থক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মী। এ ছাড়াও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা আকস্মিকভাবে হামলা করে মারপিট ও অফিস ভাংচুরসহ তিনটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করেছে বলে দাবী করেন তিনি।
অপর দিকে বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলী বলেন, আড়ানী পৌরসভা নির্বাচনে তঁার জয় নিশ্চিত জেনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা তঁার লোকজনের উপর হামলা করেছেন এবং তঁার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করেছেন। তিনি আরো বলেন, সন্ধ্যার পরে প্রায় ৫ শতাধিক দলীয় নেতা-কর্মী নিয়ে আড়ানী বাজারের ঐতিহাসিক তাল তলায় এক পথ সভায় বক্তব্য রাখছিলেন রাজশাহীর কাঠাখালি পৌর সভার নব-নির্বাচিত মেয়র আব্বাস আলী।
এ সময় রাস্তার উত্তর দিক থেকে তঁার সমর্থকরা ৮-১০ টি মোটর সাইকেল নিয়ে গনসংযোগ করে তার কার্যালয়ে ফিরছিলেন। এসময় আকষ্মিক ভাবে তাদের দেখে পেছন থেকে ধর-ধর করে ইট নিক্ষেপ সহ ধাওয়া করে শাহীদের লোকজন। এতে করে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ। এতে রাস্তার ধারে বসা সবজি ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হয়। ভাংচুর হয় দুই দলের অফিস। ঘটনার এক পর্যায়ে মুক্তার আলীর সমর্থক লাঠি-সোটা নিয়ে পৌর ভবনের সামনে অবস্থান নেন। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাজারের দোকানপাট বন্ধ ছিল।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, উপজেলা প্রশাসন সহ-পুলিশ এবং র্যাব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন। রাতে মুক্তার পক্ষের মিলন নামে এক কর্মীকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।