“ছাত্রলীগ বাংলাদেশের গৌরব ঐতিহ্যের ছাত্র সংগঠন”-রাঙ্গুনিয়ায় শেখ আতাউর রহমান
ইসমাঈল হোসেন, রাঙ্গুনিয়াঃ“বাঙালির_স্বাধীনতা ও স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যেই মূল দল আওয়ামী লীগের জন্মের এক বছর আগেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল ছাত্রলীগের। ছাত্রলীগ বাংলাদেশের গৌরব-ঐতিহ্যের ছাত্র সংগঠন। এই সংগঠনের ইতিহাস অনেক বেশি সমৃদ্ধ এবং গৌরবের।
ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবন যৌবনের চৌদ্দটি বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। ১৯৭৫ সালে তাঁকে স্বপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে মূলত দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে থমকে দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
এর ধারাবাহিকতায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের হাত ধরে রাঙ্গুনিয়ায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রা আরও বেশি বেগবান করতে এবং প্রধানমন্ত্রীর এই পরিশ্রম আরও বেশি স্বার্থক করে তুলার জন্য ত্যাগ এবং মেধানির্ভর ছাত্র নেতৃত্ব প্রয়োজন।”
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার এডভোকেট নুরুচ্ছাফা তালুকদার অডিটোরিয়ামে পৌরসভার ছাত্রলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আতাউর রহমান এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন পৌরসভা ছাত্রলীগ সভাপতি ইউসুফ রাজু। সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুদ্দিনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য দেন উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোহাম্মদ নুুরুল আলম। প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শিমুল গুপ্ত।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, ইদ্রিছ আজগর, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন তপু, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আকতার হোসেন খাঁন, শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, আবু তাহের, হালিম আব্দুল্লাহ, পৌরসভা আওয়ামী লীগের মাস্টার আসলাম খাঁন, কাউন্সিলর মোহাম্মদ সেলিম, উপজেলা যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ ইউনুচ, বদিউল খায়ের লিটন চৌধুরী, নাছির উদ্দিন আহমেদ, তাঁতী লীগ নেতা মোরশেদ তালুকদার, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু তৈয়ব সিদ্দিকী, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা রাসেল রাসু, অভিজিৎ তালুকদার পাপেল, মো. আবছার, মো. মিজান, মো. আনোয়ার, পারভেজ তুহিন প্রমুখ।
এরআগে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনে মাধ্যমে সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু করা হয়। সম্মেলনে সভাপতি-সম্পাদক পদে ১৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করেন। সম্ভাব্য এসব প্রার্থী বিপুল কর্মী-সমর্থক নিয়ে সম্মেলনে মিছিল সহকারে যোগদান করেন। দীর্ঘ ৮ বছর পর অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে উপজেলার বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার আওয়ামী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।