ঢাকা | ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ - ১০:৫৫ অপরাহ্ন

সেই বাসচালক রিমান্ডে

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Wednesday, January 20, 2021 - 5:52 pm
  • পঠিত হয়েছে: 117 বার

নবোদয় প্রতিবেদক : রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় স্বামী-স্ত্রীকে চাপা দেওয়ার ঘটনায় আজমেরী পরিবহনের চালক তসিকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসবাদের জন্য একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ বুধবার বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী রিমান্ডের এই আদেশ দেন।

এদিন তাকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড চান বিমানবন্দর থানার এসআই এমরান হোসেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী মুরাদুজ্জামান ও মনিম হোসেন রিমান্ড বাতিল পূর্বক জামিন আবেদন করেন।

শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, ঘটনা ঘটেছে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সকাল সাড়ে সাতটায়। ঘন কুয়কশার কারণে বেশি দূর দেখা যাচ্ছিল না। তখন মোটরসাইকেলটি হঠাৎ সামনে এসে পড়ে। মহাসড়ক হওয়ায় চালক সঙ্গে সঙ্গে গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। এটা অনিচ্ছাকৃত দুর্ঘটনা মাত্র। চালক ইচ্ছাকৃতভাবে বাইকটি চাপা দেননি।

শুনানি শেষে বিচারক তার এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে, ১৮ জানুয়ারি সকালে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী আকাশ ইকবাল (৩৩) ও স্ত্রী মায়া হাজারিকা (২৫) নিহত হন।

ঘটনার পর ওদিনই মৃত মিতুর বাবা মানিক মিয়া বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় এই মামলা দায়ের করেন। তাদের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনের ৯৮/১০৫ ধারায় বেপরোয়া যান চলাচলের মাধ্যমে মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়।

ঘটনার দিন রাতেই গাজীপুরের মৌচাক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তসিকুলকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

প্রতিদিনের মতো এদিন সকালে বাসা থেকে একইসঙ্গে বের হন আকাশ ইকবাল ও তার স্ত্রী। নিজের মোটরসাইকেল করে স্ত্রীকে তার কর্মস্থলে নামিয়ে দিয়ে আকাশের যাওয়ার কথা ছিল নিজ কর্মস্থলে। কিন্তু পথেই ঘাতক বাসের চাপায় ঝড়ে যায় দুটি তাজা প্রাণ।

উল্লেখ্য, ফরিদপুর সদর উপজেলার ধুলদি গ্রামের জাফর শেখের ছেলে আকাশ। একই এলাকায় বাড়ি স্ত্রী মায়ারও। স্ত্রী মায়া ও চার বছরের একমাত্র মেয়ে আরফা আনজুমকে নিয়ে দক্ষিণখান মোল্লারটেক তেঁতুলতলা উদয়ন স্কুলের পাশে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন তারা। আকাশ উত্তরায় একটি ডেভেলপার কোম্পানিতে চাকরি করতেন। আর তার স্ত্রী মায়া বিমানবন্দরে একটি রেস্টুরেন্টে চাকরি করতেন। তাদের ৪ বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।