সুদান খোলা আকাশের নিচে ১৫০ জন বাংলাদেশি মানবেতর জীবনযাপন
প্রতিনিধি : যুদ্ধ বিধ্বস্ত সুদানের অনাহারে, মানবেতর জীবন যাপন করছেন প্রায় ১৫০ বাংলাদেশী, খার্তুম থেকে ১৫০ জন বাংলাদেশী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পোর্ট সুদান আসলেও পাচ্ছে না কোন সহযোগিতা, পোর্ট সুদানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে সার্বিক সহযোগিতার চাওয়া হলেও কোন প্রকার সাড়া না পাওয়ায় গাছের নিচে খোলা আকাশের নিচে, জীবন যাপন করতে হচ্ছে এইসব প্রবাসী বাংলাদেশিদের, সুদানের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোন সুফল মিলছে না বলে অভিযোগ তাদের।
পোর্ট সুদানে অনেক দিন ধরে আটকা পড়ে থাকা বাংলাদেশীরা জানান, খাবার, পানির অভাবে অনেকেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান তাদের দূত উদ্ধারের।
মাদ্রাসার মাঠে, গাছের নিচে ও সমুদ্রের পাড়ে খোলা জায়গায় অবস্থান করা এইসব বাংলাদেশিরা সবকিছুই হারিয়ে এখন নিঃস্ব অসহায় হয়ে মসজিদের বারান্দায় ও মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে জীবন পার করতে হচ্ছে। সেইখানেইও নেই শান্তি, কিছু সশস্ত্র সুদান ডাকাত তাদের কাছে থাকা শেষ সম্বল ছিনিয়ে নিচ্ছে, না দিলে গুলি করার হুমকিতে পড়তে হচ্ছে, জীবনের নিরাপত্তায় ঝুঁকির মুখে এইসব বাংলাদেশিরা।
২২ দিন পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিহীন খাবার নেই, একটি রুটি দুইদিন খাই। পানির তৃষ্ণা লাগলে নদী থেকে লবণাক্ত পানি উঠিয়ে খেয়ে জীবন পার করতে হচ্ছে বলেও জানান তারা।
অসহায় এইসব প্রবাসীরা আরও জানান, আমরা সুদানের প্রত্যন্ত গ্রামে থাকায় নিবন্ধন করার জন্য আমরা পায়নি সেই সুযোগ। এতে আমরা সবাই আরো উদ্বিগ্ন।
বাংলাদেশীরা বলেন একটা কুকুর কামড়ে কামড়ে মৃতদেহ খাচ্ছে। আমাদের সামনে বহু লাশ পড়ে থাকতে দেখেছি। আতঙ্ক যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কতো মানুষ মারা গেছে এই হিসাব কেউ জানে না।
রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহ গুলো গরমে পচে যাচ্ছে, এত দুর্গন্ধে রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করা যাচ্ছে না। একজন সুদানি আমার বস ছিলেন সে আমাকে পোর্ট সুদানে নিয়ে আসে ? খার্তুমের কিছু কিছু এলাকা এখন কবরস্থানে পরিণত হয়েছে। সরকারের কাছে আমার আকুল আবেদন আমাদেরকে ফিরিয়ে নিন। আমরা আপনার কাছে জীবন ভিক্ষা চাই।