ঢাকা | ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪ - ৭:৪৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

নলছিটিতে আদালতের আদেশ অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Saturday, April 20, 2024 - 4:10 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 22 বার

কঞ্জন কান্তি চক্রবর্তী ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃঝালকাঠির নলছিটিতে বিরোধীয় জমিতে আদালত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিলেও তা অমান্য করে পাকা ভবন নির্মাণ কাজ চালানোর অভিযোগ উঠেছে হোসেন আলি খান নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এতে স্থিতিবস্তা চাওয়া আরেক পক্ষের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। তাদের অভিযোগ, হোসেন আলি খান ও তার ছেলেরা প্রভাবশালী ভাড়াটে লোকজনের সহায়তায় আদালতের আদেশ অমান্য করে জোরপূর্বক রাতে ও দিনে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

জানা গেছে, জে.এল ৮৯, সরমহল পুনিহাট মৌজার এস.এ ৩৪৩ নম্বর খতিয়ানের ১০টি দাগের চল্লিশ শতাংশ বিরোধীয় জমিতে ঘোষণামূলক ডিক্রির জন্য উপজেলার কুশঙ্গল ইউনিয়নের সরমহল গ্রামের হোসেন আলি খানসহ ৭ জন বাদি হয়ে সহকারি জজ আদালতে (নলছিটি) দেওয়ানি মোকদ্দমা (নম্বর ১৯/২০১৬) দায়ের করেন। মোকদ্দমায় একই এলাকার আ. আজিজ খানসহ ২৯ জনকে বিবাদি করা হয়। বিবাদিরা বিরোধীয় জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করলে আদালত গত ২ এপ্রিল উভয় পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু হোসেন আলি খান ও তার ছেলেরা আদালতে আদেশ অমান্য করে ভবন নির্মাণ শুরু করেন। তারা স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজনকে ভাড়া করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে সে জমিতে একটি ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। পাশেই ইট-বালু ফেলে রাখা হয়েছে। শ্রমিকেরা স্থাপনা নির্মাণের কাজ করছেন।

বিবাদি আ. আজিজ খানের ছেলে জাহিদ খান জানান, বাদিরা আদালতের নির্দেশনা মানছেন না। বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে তারা এসে কাজ করা অবস্থায় হাতেনাতে ৩ শ্রমিককে থানায় নিয়ে যায়।

মামলার বাদি হোসেন আলি খানের ছেলে জহুরুল ইসলাম বলেন, যখন ভবন নির্মাণ শুরু করি তখন আদালতের স্থিতাবস্থা ছিলনা। পরবর্তীতে আদালত স্থিতাবস্থার আদেশ দিলে আমরা নির্মাণ কাজ বন্ধ করেছি। পুলিশ অযথা আমাদের নির্মাণ শ্রমিকদের ধরে নিয়ে হয়রানি করেছে।

নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরাদ আলি বলেন, বিবাদি পক্ষের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। ফের আদালতের আদেশ অমান্য করলে আমাকে অবিহিত করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।