ঢাকা | ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪ - ১২:৫৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

কেরানীগঞ্জে নকল ঔষধ ও ঔষধ তৈরির সরঞ্জামাদি সহ দুইজন গ্রেফতার

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Wednesday, May 15, 2024 - 11:06 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 38 বার

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা ) প্রতিনিধি:কেরাণীগঞ্জ এলাকা হতে বিপুল পরিমান নকল ও ভেজাল ঔষধ এবং ভেজাল ঔষধ তৈরির সরঞ্জামাদিসহ ০২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ এই তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কেরানীগঞ্জ র‍্যাব ১০ এর সহকারীপুলিশ সুপার এম জে সোহেল ।

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, ছিনতাইকারীসহ মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে। “চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে” ¯েøাগানকে সামনে রেখে মাদক নির্মূলে র‌্যাব মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১৪ মে ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ রাতে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১০ এর আভিযানিক দল ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন জিঞ্জিরা এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে বিপুল পরিমান ভেজাল ঔষধ এবং ভেজাল ঔষধ তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ ০২ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নাম ১। মো. আলী আকবর (২০), পিতা-মো. গিয়াস উদ্দীন, সাং-দেওগুটিয়া, থানা-নাগরপুর, জেলা- টাঙ্গাইল ও ২। মো. দূর্জয় (২০), পিতা-মো. শহীদুল ইসলাম, সাং-গয়াহাটা, থানা-নাগরপুর, জেলা-টাঙ্গাইল বলে জানা যায়। এ সময় তাদের নিকট হতে ১,০২,৩৫০ পিস ভেজাল ঔষধ এবং ভেজাল ঔষধ তৈরির কাজে ব্যবহৃত ২৫টি পাঞ্চস্টিক, ৩টি প্লাস্টিকের নীল রংয়ের ড্রামে সর্বমোট ৮০ কেজি ট্যাবলেট ও পাউডার উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা ভেজাল ঔষধ প্রস্তুতকারী চক্র। তারা বেশ কিছুদিন যাবৎ মেসার্স বোটানিক ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী) ঔষধ কোম্পানীর নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন নকল ও ভেজাল ঔষধ তৈরি করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ঔষধের দোকানে সরবরাহ করে আসছিল। যা উল্লেখিত কোম্পানীর সুনাম বিনষ্ট ও উক্ত কোম্পানীর ক্ষতি সাধন করে আসছে। তাছাড়া তাদের উৎপাদিত নকল ও ভেজাল ঔষধ উৎপাদন, সরবরাহ ও বিক্রির ফলে জনসাধারনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াতে ব্যাপক প্রভাব ফেলছিল।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করতঃ সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।।