কবিতা “আমার প্রাণের দোসর”
রাজলক্ষ্মী মৌসুমী
> কাকাতুয়া,
> তুই যে চুপিচুপি দেখছিলি আমায় সবুজ পাতার ফাঁকে মনে আছে তোর?
> সেই মাহেন্দ্র ক্ষণটি ছিলো কাক ডাকা ভোর।
> এখনও বাঁধানো খাঁচাটিতে তোর পালকের গন্ধ পাই।
> তুই কোথায় আছিস, কেমন আছিস, খুঁজেছি অনেক কিন্তু কোথাও নাই।
> আজ বার বার কেনো জানি তোকে পরছে মনে।
> আর একবার দিয়ে যা তুই নয়ন চুমে।
> তুই ছিলি গাছের ডালে, আমি ছিলাম কাশ ফুলে।
> তোর মায়াবী চোখের চাহনিতে বুকে নিলাম তুলে।
> খাঁচায় বন্দী হয়ে বলতি শুধু আমার কোলে আদর খাবি।
> ভয়ে আমি কত যে দিতাম ফাঁকি , তুই তো ছিলি নাছোরবান্দা এটাই তো তোর দাবী।
> ভালোবেসে কাছে নিলি বুঝে নিলাম তুই যে বড় সোহাগিনী।
> তোকে নিয়ে কত স্বপ্ন দেখি যখন মনে মনে,
> কোথায় তখন হারিয়ে গেলি বুকটা আমার খালি করে?
> তোকে নিয়ে আজো ভাবি তাইতো মনে পড়ে।
> সেই যে আমার ভালোবাসার রঙ্গের খেলায়।
> মাঝে মধ্যে হারিয়ে যাই, আজো খুঁজি তোকে যেথায় সেথায়।
> তুই যে ছিলি আমার বুকের পাঁজর,
> আর কি পাবো তোকে এমন প্রাণের দোসর।
> আজো মনে হয়, তুই যদি আবার আসিস সেই গাছটির ডালে?
> আমি শরতের মেঘের ভেলার মতো চলে যাই, যেখানে তোর আমার দেখা হয়েছিলো কাশ ফুলের আবডালে।
> আমি তোর প্রতীক্ষায় আছি, থাকবো আজীবন
> আসবি তো? সেই পাশেই নরম গাছের পাতার বুকে?
> আমার অন্তর কাঁদে , এতো ভালোবাসি যারে,
> তাই তো অহর্নিশ কষ্ট পাই ধুঁকে ধুঁকে।।