ভালুকা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পিন্টুতেই আস্থা রাখতে চান ভোটাররা
ষ্টাফ রিপোর্টারঃআসন্ন ষষ্ট উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে আগামী ৫জুন ভোট গ্রহণ। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে নির্বাচনী মাট। ভালুকা উপজেলায় এবার ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন সাতজন। প্রতীক পেয়ে নির্বাচনী প্রচারের শুরু থেকে ভোটারদের প্রত্যাশা পূরণে প্রার্থীরা নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। যদিও মূল লড়াইটা হবে কৈ মাছ প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও বর্তমান সফল ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পিন্টু, আনারস প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম (হাজী রফিক), টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী কামরুজ্জামান পিন্টু মধ্যে। উপজেলা পরিষদের একজন চেয়ারম্যান হিসাবে উপজেলা প্রশাসনে দায়িত্বে থাকা বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার সার্ভিসের একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাচিবিক দায়িত্ব পালন করেন সেখানে একজন শিক্ষিত ও যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি হিসাবে টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী কামরুজ্জামান সততা আর নীতির উপরই আস্থা রাখছেন ভোটাররা ।তবে প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়েই ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী কামরুজ্জামান পিন্টু, আনারস প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম (হাজী রফিক)। ভোটারদের মুখে মুখে এখন কৈ মাছ, টেলিফোন,আনারস প্রতীকের জয়ধ্বনি। তবে সাধারণ জনগণ এবার টেলিফোন প্রতীকের উপর আস্থা রেখেই ভালুকা বাসীর উন্নয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান কামরুজ্জামানকে পাশে চান।
এই তিন প্রার্থী ছাড়াও এ উপজেলায় সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা সহ আরো ৩জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে ভোটের মাঠে টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী কামরুজ্জামান পিন্টু, কৈ মাছ প্রতীকের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম পিন্টু, আনারস প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম (হাজী রফিক),সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা ছাড়া আর কাউকে তেমন জোড়ালোভাবে দেখা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ভালুকার ভোটারদের দাবী। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ও গ্রামের মোড়ের চায়ের দোকানগুলোতে নির্বাচনে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। তাদের মতে, এ তিন প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। বেশিরভাগ ভোটার টেলিফোন প্রতীকে আস্থা রেখে এবার কামরুজ্জান পিন্টুতেই ভরসা করছেন। তবে দুই বার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করে জনগণের সকল বিপদে আপদে পাশে থাকা আর উপজেলার যেকোন ইউনিয়নে কারো মৃত্যু সংবাদে জানায়ায় অংশ গ্রহণ করে কাছাকাছি থাকায় নির্বাচনে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বর্তমান সফল ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক কৈ মাছ প্রতীকের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম পিন্টু।
মেদুয়ারী ইউনিয়নের বাসিন্দা অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন রবিন জানান , ভালুকার গ্রামগঞ্জে টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী কামরুজ্জামান পিন্টুর আলোচনাই বেশি হচ্ছে। সবার মুখে মুখে টেলিফোন প্রতীকের কথা শোনা যাচ্ছে। এবার এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে কামরুজ্জামান পিন্টু টেলিফোন প্রতীক নিয়ে পাস করতে পারেন এমনটাই ধারণা তার।
হবিরবাড়ী কয়েকজন ভোটার বলেন, টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী নতুন হলেও তিনি ম্যান হিসাবে ভালো হওয়ায় তাট প্রতি মানুষের আস্থা রয়েছে। তাছাড়া তিনি একজন সৎ জনবান্ধব ব্যক্তি তাই এলাকার উন্নয়ন ও শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের জন্য আমরা কামরুজ্জামান পিন্টুকেই চাই।
কাচিনা ইউনিয়নের ভোটাররা বলেন,টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী কামরুজ্জামান পিন্টু , কৈ মাছ প্রতীকের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম পিন্টু ও আনারস প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম (হাজী রফিক) তিনজনের অবস্থাই ভালো। জয়ের ব্যাপারে তিনজনেরই সমান সুযোগ রয়েছে।