ঢাকা | ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪ - ১০:০৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

ছাত্রলীগ নেত্রী নিশি ও শান্তা মধ্যরাতে তন্বীকে বেধরক পেটালো

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Wednesday, December 23, 2020 - 12:52 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 107 বার

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘বেয়াদবি’ করার অভিযোগ তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনী দাস তন্বীকে বেধরক পিটিয়েছেন ছাত্রলীগেরই দুই নেত্রী।

তারা হলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজীর হোসেন নিশি ও শামসুন্নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জেসমিন শান্তা।

গত সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটলেও বুধবার সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমের নজরে আসে।

ক্যাম্পাসে নিশি ও শান্তার জুনিয়র ভুক্তভোগী তন্বীর অভিযোগ, ‘নিশি ও শান্তা রাত ১২টার দিকে আমাকে ফোন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে যেতে বলেন। আমি সেখানে গেলে তারা আমাকে বিভিন্নভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একপর্যায়ে তারা আমাকে মারতে উদ্ধত হলে আমি সেখান থেকে দৌড়ে চলে আসি। তখন তারা আমাকে ধাওয়া করে বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের সামনে ধরে ফেলে উপর্যুপরি প্রহার করে।’

মারধরের শিকার তন্বী আরও বলেন, ‘যেন আমি পালাতে না পারি সেজন্য তারা দুটি ছেলেকে দিয়ে আমাকে ঘিরে রাখে। আমি মাটিয়ে পড়ে গেলে শান্তা আমার পায়ে জোরে চাপ দিয়ে ধরে রাখে আর নিশি আমাকে এক পা দিয়ে চেপে ধরে এলোপাতাড়ি লাথি মারতে থাকে। আমার গলা পা দিয়ে চাপ দেয়ার গলা দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসে। তারা আমার মুখও খামচে দেয়। রাস্তায় পড়ে দিয়ে আমার হাত-পা ও মাথায় আঘাত লাগে।’

তন্বী বলেন, ‘বিষয়টি টের পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও দায়িত্বরত পুলিশ আমাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এলে তারা আমাকে ছেড়ে দেয়। পরে এক বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় হাসপাতালে গিয়ে আমি প্রাথমিক চিকিৎসা নিই। এখনও আমি শক্ত কোনও কিছু খেতে পারছি না।’

এ ঘটনায় রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে। আমি ঊর্ধ্বতন নেতাদের বিষয়টি জানিয়েছি। তারা যদি ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমি আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো।’

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজীর হোসেন নিশি বলেন, ‘মেয়েটা বেয়াদবি করেছি, তাই আমরা শাসন করেছি। একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে আমরা সমাধান করে নিয়েছি।’

বিষয়টি নিয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘আমরা জানতাম তাদের মধ্যে এমন উত্তেজনা ছিল। কিন্তু মারামারির বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এমন কিছু ঘটে থাকলে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

তবে এ ঘটনায় শামসুন্নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জেসমিন শান্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।