কবিতা “আমার যদি এমন একটা তুমি থাকতো”
সারমিন জাহান মিতু
বয়সটা তখন পনেরো কি ষোলো
ইচ্ছে হতো আমার যদি তোমার মতো
একটা এমন তুমি থাকতো।
ক্লান্ত দুপুর পেরিয়ে গিয়ে সাঝের বেলায়
মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে নিয়ে,
আমার জন্য দাঁড়িয়ে থেকে ভালোবাসায় লাজুক আঁখি
সবার চোখে ফাঁকি দিয়ে আমার প্রেমেই ভেসে যেতো।
আমার যদি তোমার মতো এমন একটা তুমি থাকতো।
তবে আমি হতাম বেহালা বাদক
সুর হতে তুমি।
নিস্তব্ধ রাতে সে সুরে সারিবদ্ধ জোনাকির দল
গাইতে শিখতো এমন কোন গান
যে গানে বেদনার পতনে সুখে ঝরে পরতো ছোট্ট পাখিটির কতো কথা।
যা তোমার -আমার ভালোবাসার রূপকথার গল্প।
ভেলায় ভাসামান হতাম দুজন সমুদ্র হতে সমুদ্রে,
কখনো ছোট্ট নদীর ধারে বুনোফুল দিয়ে সাজাতাম
তোমাকে আর ভেলাটাকে।
আমাদের দেখে বৈষ্ণবীদল নতুন গীতিকাব্য রচনা করতো।
আমার দুজন হারিয়ে যেতাম হাজার বছর পেরিয়ে,
মানুষ আর পাখিদের সুরে সুরে আমাদের কথা গুলো
শিস দিয়ে বাজাতো নির্মল প্রকৃতি।
আমরা প্রকৃতির পরিচয়ে যুগের পরে যুগ নতুন করে
আবার আসতাম ভালোবাসার নীল খামে।
আজ তোমার মতো তুমি আছ,
আমিও আছি।
শুধু ইচ্ছে গুলো অন্যরকম, অন্য কারো হয়ে গেছে।
তবুও আমার মনের ভেতর তপ্ত আঘাত আজও আছে,
সেখানটাতে ইচ্ছে গুলো বলছে ডেকে
আমার যদি তোমার মতো এমন একটা শুধুমাত্র তুমি থাকতো।
লুকানো ব্যথা তোমার বুকে লুটিয়ে পরতো
সুখের সুরে তার ছেঁড়া সেই বেহালাটা নতুন করে সুর শোনাতো।