চরফ্যাশনে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ
মোঃ নোমান চৌধুরী, চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি : ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ লেনদেন, দালালের দৌরাত্ম্য ও জমির শ্রেণি পরিবর্তনের নামে রাজস্ব ফাঁকিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
অফিস সহকারী(কেরানি) সিরাজ ও নকল নবিস প্রধান সাইফুল সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। অভিযোগে জানা যায় রেজিস্ট্রেশনের নামে অবৈধভাবে বিভিন্ন ফি আদায়সহ প্রায় এক যুগ একইস্থানে কর্মরত থেকে দলিলের সিরিয়াল ও দলিলে ভুল দেখিয়ে নকল নবিস প্রধান সাইফুল ইসলাম ও কেরানি সিরাজ সৃষ্টি করেছেন ঘুষ সিন্ডিকেট।
আর এ মাসে কোটি টাকার এ সিন্ডিকেটের পালে হাওয়া দিচ্ছে সাব-রেজিস্টার সামসুল আলম।
এমন পরিস্থিতে দক্ষিণ আইচা সাব-রেজিস্টার অফিসের দলিল লেখক ও গ্রহীতাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
কয়েক জন নাম না জানা সূত্রে জানাগেছে, দক্ষিণ আইচা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সাইফুল ইসলাম, কেরানি সিরাজ একই দপ্তরে প্রায় এক যুগ ধরে সাব-রেজিস্টারদের সাথে যোগসাজসে পুরো অফিসজুড়ে ঘুষের রাজত্ব করেছে। দলিল রেজিস্ট্রি করার আগে কেরানি সিরাজ ও নকল নবিস প্রধান সাইফুল ইসলামের কাছে আসতে হয়। তাদেরকে গ্রহীতারা দলিল বাবদ অতিরিক্ত ২হাজার/৩হাজার টাকা ঘুষ না দিলে দলিল রেজিস্ট্রেশন হয়না। এমনকি দলিলে ইচ্ছাকৃত ভুল দেখিয়ে ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও ছোট-খাটো কিছু ভুল এবং অসম্পূর্ণতা থাকে যা পরিপূর্ণ করতে গেলে কালক্ষেপন হয় আর এতে জমির ক্রেতা চলে যাওয়ার ভয়ে জমির দাতারা, কেরানি সিরাজ ও নকল নবিস সাইফুল এর কাছে ধরণা দেয়। এ সুযোগটি কাজে লাগিয়ে সাইফুল ও সিরাজ, লক্ষ লক্ষ টাকার ঘুষ হাতিয়ে নেয়।
অথচ এধরণের ভুলগুলোকে প্রাধান্য না দিলে তেমন কোন ক্ষতির আশংকা থাকে না। এভাবে অনেক টেবিল পার হয়ে সাব-রেজিষ্টারের টেবিলে দলিল সম্পাদনের জন্য উত্থাপিত হয়। সাব-রেজিস্টার সামসুল আলম যোগদান করার পর থেকে প্রতিনিয়ত জমির ক্রয়-বিক্রেতাদের হয়রানি করছে। সে সঙ্গে নানাবিদ অনিয়ম ও দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে অফিসটি। অভিযোগ রয়েছে প্রতি দলিল সম্পাদনে প্রতি লাখে ১ হাজার থেকে ১৫ শত টাকা নকল নবিস প্রধান সাইফুল ইসলাম, কেরানি সিরাজের মাদ্যমে সাব-রেজিস্ট্রারকে ঘুষ দিতে হয়। দলিল লেখকরা ঘুষের টাকা দিতে রাজি না হলে সাব-রেজিস্ট্রার কাগজের ভূলত্রুটি দেখিয়ে দলিল সম্পাদন না করে ফিরিয়ে দিলে দলিল লেখকরা ও ক্রেতা-
বিক্রেতারা উভয় সংকটে পরে যান। তাই দলিল সম্পাদন পূবেই নকল নবিস প্রধান সাইফুল ইসলাম, কেরানি সিরাজ ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় ঘুষ আদায় করে নেয়।
অফিস সহকারী সিরাজ বলেন, আমি কোন টাকা দাবী করিনা এখানে সকল দলিল সম্পাদক হয়ে যায়। এবিষয়ে সাব-রেজিস্ট্রার সামসুল আলম বলেন, আমাদের দপ্তরের কোন ঘুষ নেয়া হয়না। এ বিষয়ে জেলা রেজিস্ট্রার সেলিম হাওলাদার বলেন এব্যাপারে আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।