সুমাইয়া হত্যার বিচার চাই
হেলাল আহমদ বালাগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বালাগঞ্জ উপজেলার বোয়ালজুড় ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের সুমাইয়া দশম শ্রেণিতে পড়ত। প্রতিদিনের মতো গত ২২ মার্চ বুধবারেও সে স্কুলে গিয়েছিলো। কিন্তু স্কুল থেকে সে আর জীবিত ফিরেনি! ঐ দিন বিকেলে তাঁর মৃতদেহ পেকুয়া ব্রিজের আশপাশের জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়।
পত্রিকার মাধ্যমে জানলাম, সন্দেহজনক ভাবে পাশ্ববর্তী মোবারকপুর গ্রামের লিটন মিয়া নামের এক ব্যক্তি কে আটক করেছে পুলিশ এবং বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বলেছেন- পুলিশ “চুলচেরা বিশ্লেষণ” করে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। বালাগঞ্জ থানা টিমকে সাধুবাদ জানাই এবং আশাকরি- কালক্ষেপণ না করে অতি দ্রুত তাঁরা আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হবেন।
ইতিমধ্যে “শহীদ সুমাইয়া সংগ্রাম পরিষদ” নামে একটা সংগঠন করে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি দেয়া হচ্ছে। আমি আশাবাদী, পুলিশ এবং এলাকার সচেতন মহলের প্রচেষ্টায় সুমাইয়া হত্যা‘র বিচার হবে।
কিন্তু আমি আশাবাদী হলেও ফেইসবুকে নানা রকম কথাবার্তা হচ্ছে এবং কিছু খবরাখবর কানে আসছে, যা সত্যিই ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরকম দিনে দুপুরে জনবহুল একটি গ্রামে একটা মেয়ে স্কুলে যাবার পথে খুন হয়ে গেলো! ভাবতে অবাক লাগে, আমরা কোথায় বাস করছি? এ হত্যাকাণ্ডের বিচার যদি না হয়, তাহলে আমরা সবাই এজন্য সমানভাবে দায়ী থেকে যাবো বলে আমি মনে করি। একের পর এক হত্যাকাণ্ডের বিচার ধামাচাপা দিয়ে যদি বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে তোলা হয়, তাহলে আমাদের সমাজ ও সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যাবে। আমরা আইয়্যামে জাহেলিয়াত যুগের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি বলে মনে হয়!
সবার প্রতি একান্ত অনুরোধ জানাই- অপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকতা না করে আসুন, প্রতিবাদ করি। নিজেকে প্রশ্ন করি- সুমাইয়া যদি নিজের মেয়ে বা বোন হতো তাহলে কী করতাম? তাই আসুন, অপরাধীদের লালন-পালন না করে দমন করতে চেষ্টা করি এবং আমাদের নিজেদের মেয়ে-ভাতিজি, বোন-ভাগ্নিরা যাতে নির্বিঘ্নে, নিশ্চিন্তে ও নিরাপদে স্কুলে যেতে পারে সে ব্যবস্থা করি।