১০ টাকায় ৭ মরিচ
মোংলা প্রতিনিধি : মোংলায় বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০০টাকা কেজি দরে। এর আগে বুধবার (৫ জুলাই) ছিলো ৪০০টাকা আর মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ছিলো ৩০০টাকা কেজি। এর আগে দাম বেড়ে হয়েছিলো ৮০০টাকা।
পৌরসভার প্রধান কাঁচা বাজারের বিক্রেতারা বলেন, ৮০০টাকা থেকে দাম কমে হয় ৩০০টাকা কেজি। এরপর ৩০০টাকা হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন কেজিতে দাম বাড়ছে ১০০টাকা করে। এখন ৫০০টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। সে হিসেবে ১০ টাকায় মিলছে সাতটি কাঁচা মরিচ।
এদিন ক্রেতা শাহজাহান সিদ্দিকী ও ওমর ফারুক বলেন, বাজারে হঠাৎ হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের কোন নজরদারী ও তদারকি নেই, যার ফলে বাজার সিন্ডিকেট বেপরোয়া।
ক্রেতা রিচার্ড হালদার বলেন, ৫০০টাকা কাঁচা মরিচের কেজি, কিনবো কিভাবে। ক্রেতা সোহান হোসেন বলেন, ৫০০টাকা দরে ১০০গ্রাম মরিচ কিনেছি ১২৫টাকায়। তিনি বলেন, অন্যান্য কাঁচামালেরও দাম বেশি। ১০০টাকার নিচে কোন তরকারী নেই।
বাজারে আসা আলেয়া বেগম বলেন, তরিতরকারি কোন রকম কিনেছি, কিন্তু দাম বেশি হওয়া কাঁচা মরিচ কিনতে পারেনি, শুকনো মরিচ দিয়ে রান্না করতে হবে। মকবুল ইলসাম বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, ৫০০টাকা কেজি এখন, এর আগে বুধবার ছিলো ৪০০টাকা আর মঙ্গলবার ছিলো ৩০০টাকা। দিনে ১০০টাকা করে দাম বাড়ছে কাঁচা মরিচের। তারপরও নিতে না নিলে বাসায় চিল্লাপাল্লা করে। তাই ৫০গ্রাম নিয়েছি কাঁচা মরিচ।
এদিকে এতো বেশি দামে মরিচ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। মরিচ কেনা নিয়ে বাজারে ক্রেতাদের রয়েছে ক্ষোভও। গৃহিনী নুরনাহার বেগম বলেন, ১০টাকায় ৭টি মরিচ কিনেছি। অপর গৃহিনী ৫০গ্রাম মরিচ কিনেছেন ৬৫ টাকায়। আবার দাম বেশি হওয়ায় মরিচ না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন কেউ কেউ। বেশি দামে বিক্রি করায় লাভ বেশি হওয়াতে বিক্রেতাদের মুখে হাসি থাকলেও ক্রেতাদের মুখ মলিন।
অপরদিকে সিন্ডিকেট করে মালামাল বিক্রি করায় কাঁচামাল ব্যবসায়ী সুমন হাওলাদার ও রফিকুল ইসলামের সদস্য পদ বাতিল করেছেন মোংলা কাঁচা বাজার সমবায় সমিতি। সমিতির সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন বলেন, সুমন ও রফিকের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট করে কাঁচামাল বিক্রির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার তাদের সমিতির সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর দাশ বলেন, শীঘ্রই বাজার তদারকি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। #