সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক জিএম বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক মিঞা ছিলেন পরোপকারী মানুষ। ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল তিনি মারা যাওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা প্রয়াত জিএম মালেক মিঞার দেখানো পথেই সখীপুর-বাসাইলের অসহায় গরীব-দুঃখীদের সহযোগিতায় নানারকম কল্যাণমূলক কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে অসহায়দের চিকিৎসাসেবায় পরিবারটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
সখীপুরের হাতীবান্ধায় প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদদের স্মরণে আয়োজন করা হয় বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্প। সেখানে জিএম মালিকের ছোটভাই দেশ বরেণ্য কিডনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদের আহ্বানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা সখীপুর-বাসাইলের অসহায়-দরিদ্রদের কিডনি, চক্ষু, হার্ট, লিভার, গাইনি, অর্থপেডিক, গ্যাস্ট্রো, ডায়াবেটিস, নাক-কান-গলা, ডেন্টাল, বাতব্যাথা, প্যারালাইসিসসহ নানা বিষয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন। এ চিকিৎসা ক্যাম্প থেকেই বিগত ১৯ বছরে অন্তত ৯৭ হাজার রোগী বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পেয়েছেন। এ ছাড়া প্রতিবছর চোখে ছানিপড়া রোগীদের বাছাই করে তাঁদের অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থাও করে পরিবারটি। এ ছাড়া প্রয়াত জিএম মালেকের তিন ছেলে আওলাত হোসেন সুমন, আমিন শরীফ সুপন ও আওলাত হোসেন সুজনও বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে পথ চলছেন।
তাঁরাও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিএম আব্দুল মালিক মিঞা ফাউন্ডেশনের ব্যানারে নানাভাবে অসহায় দরিদ্রদের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন স্থানীয় খেলাধুলা, সামাজিক ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও সভা-সেমিনারে।
একাধিক সেবাগ্রহীতা ও এলাকাবাসী এ বিষয়ে বলেন, জিএম মালেক মিঞা একজন সাদা মনের মানুষ ছিলেন, সুখে-দুখে এলাকার মানুষের পাশে এগিয়ে আসতেন তিনি,বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতাও করতেন। তেমনি ভাবে জিএম মালেক মিঞার ভাই ও সন্তানেরাও মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। আমরা প্রয়াত মালেক মিঞা ও তার পরিবারের সকলের জন্য প্রাণভরে দোয়া করি।
প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক মিঞার কনিষ্ঠ পুত্র আমিন শরীফ সুপন বলেন, বাবা টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সম্মানিত সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের জিএম পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় প্রায় একযুগ ধরে আওয়ামীপন্থী অফিসার্স প্যানেলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আমৃত্যু আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে সখীপুর-বাসাইলের মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। সেই পরিবারের সদস্য হিসেবে আমরাও সখীপুর-বাসাইলের অসহায় গরীব-দুঃখীদের সহযোগিতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
