কবিতা “কুয়াশার চাদরে তুমি”
রাজলক্ষ্মী মৌসুমী:
ভোরের আবছা আবেশে সূর্যের কিরণ উঁকি দেয় আবার মেঘে ঢেকে যায়।
> কী অপরূপ সৌন্দর্য্য ভোরের কুয়াশায় নয়ন জুড়িয়ে যায়।
> হিমেল হাওয়ায় মনটা উতলা হয়ে ওঠে।
> রোদ আর মেঘের নয়নাভিরাম খুনসুটি খেলায় মেতে উঠেছে কুয়াশার মায়াজালে।
> রোদের পরশ গায়ে মাখা হয়ে উঠেনা উঠোনেও আর আসা হয় না।
> বালিশে কান পেতে থাকি রাতের নিঃস্তব্ধতায়।
> অগোছালো গাছগুলোর এলোমেলো বায়ের শোঁ শোঁ শব্দ—–তোমায় কাল্পনিক অস্তিত্বে অনুভব করি।
> যত অন্ধকার ভোরের শিশির মাড়িয়ে এই বুঝি তুমি এলে।
> আবছা আলোয় টিনের চালে টপটপ করে
> শিশির কণা পড়ছে ছন্দে ছন্দে।
> হঠাৎ দখিনা বাতাসের ঝাপটায় বাতায়ন কেঁপে উঠে।
> বাহ্ কী দেখলাম পাখীর কলকাকলীতে চারপাশ যেনো প্রকৃতি নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যে ছেয়ে আছে।
> আর কোন কথা নয় দৌঁড়ে জানালা খুলে দিলাম।
> ওমা একি হুড়মুড়িয়ে পড়ল এসে চোখে মুখে, তোমার না বলা কত কথার জমানো ভালোবাসা।
> কেবলি আসছে তো আসছেই এ যেনো কত যুগের প্রেমের কথামালা।
> আমিও অনেক লালন করে রেখেছি আমার হৃদয়ের কত কথা।
> তোমায় পাঠাবো আমি রঙিন খামে। এঁকে দেবো চন্দনের সুগন্ধি ভরা গোপন ভালেবাসা।
> শুধু ভোর হওয়ার অপেক্ষায়।