ঢাকা | ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪ - ১:১২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

বালাগঞ্জে বিদ্যাদেবী মাতা সরস্বতীর শ্রী চরণে অঞ্জলীর মধ্যো দিয়ে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Thursday, February 15, 2024 - 1:29 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 44 বার

হেলাল আহমদ বালাগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিলেট জেলার বালাগঞ্জ উপজেলার ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আর ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিদ্যা ও জ্ঞানের দেবী সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব বিদ্যারদেবী সরস্বতী পূজা। পঞ্চমী তিথিতে বিদ্যা ও জ্ঞানের দেবী সরস্বতীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেছেন অগণিত ভক্ত। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন উপজেলার বাসা বাড়ি, স্কুল, কলেজ, বিভিন্ন সংগঠন ও মন্দিরে দেবী সরস্বতীর আরাধনা করা হয়।

মাঘ মাসের শুক্লাপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে বুধবার সকাল থেকে শুরু হয় পূজার আনুষ্ঠানিকতা। এরপর ফুল আর বেলপাতার সাথে মন্ত্র উচ্চারণ করে দেবীর চরণে দেয়া হয় পুষ্পাঞ্জলি।

এসময় উলুধ্বনি ও ঢাকের বাজনায় মুখোরিত হয়ে ওঠে প্রতিটি পূজা-মন্ডপ। অনেক ছোট শিশু শিক্ষা জীবন শুরু করতে দেবীর পায়ে অঞ্জলি দিয়ে নিয়েছে হাতে খড়ি। পূজায় নানা রকমের ফল, মিষ্টি, নৈবদ্য সাজিয়ে দেবীকে অর্পণ করা হয়।

বিদ্যাদেবীর কৃপালাভের আশায় সরস্বতী পূজা উপলক্ষে সকালে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ছাত্রছাত্রীদের বাসা ও পূজামণ্ডপে সরস্বতী পূজা হয়। পূজা শেষে ভক্তরা অঞ্জলি গ্রহণ করেন। এদিন শিশুদের হাতেখড়িরও আয়োজন করা হয়।
এদিকে মঙ্গলবার রাত ৮টা ৪৩মিনিটে শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথি শুরু হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৩৬মিনিটে তিথি শেষ হবে। সরস্বতী পূজা বিদ্যা ও সঙ্গীতের দেবী সরস্বতীর আরাধনাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠেয় একটি অন্যতম ধর্মীয় উৎসব।
সরস্বতী বৈদিক দেবী হলেও এ পূজার বর্তমান রূপটি প্রচলিত হয়েছে আধুনিক কালে। তবে প্রাচীন কালে তান্ত্রিক সাধকেরা সরস্বতী-সদৃশ দেবী বাগেশ্বরীর পূজা করতেন বলে জানা যায়। শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে, মাঘ মাসের শুক্লাপঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ তিথি বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত।

বিদ্যার দেবী সরস্বতী। শুভ্র তাঁর গায়ের রঙ। দেবীকে বিদ্যা, সঙ্গীত, বাণী ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রীও মনে করেন সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা। দেবীকে সন্তুষ্টি করে তাঁর আর্শিবাদ পেতে বালাগঞ্জ ডিগ্রি সরকারি কলেজে এবছর জাঁকজমকপূর্ণভাবে সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়েছে। কালীগঞ্জ এম ইলিয়াস আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে জাঁকজমকপূর্ণভাবে সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়।

বালাগঞ্জ কলেজ, বালাগঞ্জ ডি এন উচ্চ বিদ্যালয়,কালীগঞ্জ এম ইলিয়াস আলী উচ্চ বিদ্যালয়ন্যায় সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্টান ও বাড়িতেও আড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সরস্বতীর পূজা।
বুধবার সকাল থেকে বালাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আয়োজিত পূজা প্যান্ডেলে ও পূজা মন্দিরে ভিড় জমাতে থাকে শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। জ্ঞান লাভের আশায় মায়ের রাতুল চরণে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করে শিক্ষার্থীরা। অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করতে কল্যাণময়ী দেবীর পাদপদ্মে প্রণতি জানায় তারা।

এদিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সরস্বতী পূজা উপলক্ষে রাজনগরেরর জাহিদ পুর উত্তর পাড়ায় ছোট রাখাল সংঘ সম্প্রাদায় এর উদ্দ্যোগে। সংঘের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্দা উমেশ বিশ্বাস, সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার নকুল বিশ্বাস নিলয় এর বাণী অর্চনাসহ নানান ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ভক্তরা নয়ন বিশ্বাস

নিলয়,কণজিতবিশ্বাস,কনক,অরবিন্দু,শ্যামল,রিপন,সবজী,বাদল,রাজিব,সনজিত,সবুজ,নিপেশ,গোবিন্দ, অজয়,সুদাম,প্রমুখ।পূজায় ছাড়াও অন্যান্য মাধব চক্রবতী ঠাকুর সকল ভক্তদের , পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, ধর্মীয় আলোচনা সভা, পূজা চলাকালীন সময় উলু ও শঙ্খ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে প্রতিটি পূজামন্ডপ।সরকারি কলেজে আয়োজিত সরস্বতী পূজার অনুষ্ঠানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পূজা আর্চনা চলছে। কলেজের সরস্বতী পূজার অনুষ্ঠানে যোগদেন শিক্ষকবৃন্দ। এসময়ে শিক্ষকবৃন্দ শিক্ষার্থীদের সাথে সরস্বতী পূজার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, এবছর সরকারি কলেজে জাঁকজমকপূর্ণভাবে সরস্বতী মায়ের পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে । মা সরস্বতী আমাদের সকলকে বিদ্যা, বুদ্ধি দান করুন আমরা মায়ের কাছে এটাই কামনা করেছি।
আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, মা সরস্বতী বিদ্যার দেবী। আমরা যেহেতু শিক্ষার্থী, আমরা যেন ঠিকমত পড়াশোনা করতে পারি সেটা মায়ের কাছে কামনা করেছি।

পড়াশোনার পাশাপাশি আমরা যেন ভালোমত সাহিত্য, সাংস্কৃতিক চর্চা শুদ্ধ ভাবে করতে পারি মা আমাদের সেই আর্শিবাদ করুক এই কামনা করেছি। বলেন, প্রতি বছর মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পুজো উৎযাপিত হয়।
মাঘ মাসের পঞ্চমী তিথিতেই সরস্বতী প্রকট হয়েছিলেন। সরস্বতীকে সঙ্গীত, শিল্প, বাণী, বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী মনে করা হয়। এদিন বিদ্যারম্ভ করলে জ্ঞান বৃদ্ধি হয়। এই দিনটি যে কোনও শুভ কর্ম সম্পন্ন করার জন্য উৎকৃষ্ট।