বড়পুকুরিয়া খনিতে কয়লা উত্তলন বন্ধ
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১২০৯ কোল ফেসে’র ভূ-গর্ভের কয়লা উত্তোলন নির্গমন মুখের মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সাময়িক বন্ধ হয়েছে। ১২০৯ নং ফেইসের উত্তোলন যোগ্য কয়লা শেষ হওয়ায় সোমবার (১ জুলাই) দিবাগতরাত থেকে কয়লা উত্তোলন সাময়িক বন্ধ করা হয়।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করছেন বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেড এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম সরকার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, খনির ভূ-গর্ভে ১২০৯ নম্বর ফেইস থেকে চলতি বছরের গত ২৫ এপ্রিল থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। ওই ফেইস থেকে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলনের পর উৎপাদিত কয়লা বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়েছে। ওই ফেসে মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ার ফলে ১৪১৪ নং নতুন ফেইসে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরের জন্য সোমবার (১ জুলাই) দিবাগত রাত থেকে খনির কয়লা উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। সূত্র মতে বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বিসিএমসিএল এর ইয়ার্ডে ১ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুদ রয়েছে।
কয়লা খনির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, ১৪১৪ ফেইসে নতুন করে ওপেন আব কাট নির্মাণ, ১২০৯ ফেইস থেকে সকল ইক্যুইপমেন্ট স্যালভেজ ও যথাযথ মেইন্টেন্যান্স করে ১৪১৪ ফেইসে স্থাপন কাজ করতে প্রায় দুই থেকে আড়াই মাস সময় লাগবে।
আশা করা যায় সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী আগষ্ট মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে নতুন ফেস ১৪১৪ থেকে আবারও উৎপাদন চালু করা সম্ভব হবে। ধারানা করা হচ্ছে ১৪১৪ নতুন ফেস থেকে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিকটন কয়লা পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন।
এদিকে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বককর সিদ্দিক জানায়, তাপবিদুৎ কেন্দ্রের জন্য চলতি বছরের আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ লাখ ৫০ হাজার টন কয়লার প্রয়োজন, কিন্তু আপৎকালিন এক লাখ ৭৫ হাজার টন মজুদ রয়েছে।
এ কারণে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪৫ থেকে ৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন কমানো হয়েছে। তিনি বলেন ১নং ইউনিটে ৮০ মেগাওয়াট থেকে কমিয়ে ৬০-৬৫ মেগাওয়াট ও ৩নং ইউনিটে ২৫০ মেগাওয়াট থেকে কমিয়ে ২২০ মেগাওয়াট উৎপাদন করা হচ্ছে।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেড (বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির) ব্যাবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন খনির নিয়োমিত কাজের অংশ হিসেবে একটি ফেইজ থেকে নতুন ফেইজে যন্ত্রপাতি স্থাপন করতে তিন মাস সময় প্রয়োজন হয়।
এজন্য কয়লা উত্তোলন সাময়িক বন্ধ থাকে। তবে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন আগামী আগষ্ট মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে নতুন ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা যাবে।