বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী
কেরানীগঞ্জে (ঢাকা)পতিনিধ : ঢাকার কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া বাজার এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা না থাকার কারণে বৃষ্টির পানি, শৌচাগারের পানিসহ ময়লা পানি সড়কে এসে জমা হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে সড়কে চলাচল করা পথচারী ও এলাকাবাসী।কলাতিয়া এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাস, ট্রাক,রিকশা, মোটরসাইকেল,প্রাইভেট কার, সিএনজিসহ অন্যান্য যানবাহনে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত করে।
স্থানীয়রা ময়লা পানিতে সাবধানে চলাচল করলেও অধিকাংশ মানুষ জানেনা এগুলো শৌচাগার বা বাথরুমের পানি । তাই নিজের অজান্তেই নোংরা পানিতে নষ্ট হচ্ছে জামাকাপড়সহ প্রিয় যানবাহন। আর ব্যবসায়ীরা আছেন চরম ভোগান্তিতে । রিক্সা চালক রুবেল জানান এই রাস্তায় বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকে। এ রাস্তা দিয়ে রিক্সা চালানো বিপদ । কখন দুর্ঘটনা ঘটে যায় । কারণ পানির নিচে তো বুঝা যায় না কোন দিক ভালো আর কোন দিকে ভাঙা। স্থানীয় ব্যবসায়ী মোঃ সবুজ জানান, এই রাস্তার পাশেই আমাদের দোকান ।
নোংরা পানির কারণে আমাদের কাস্টমার কমে গেছে, এতে আমরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগস্ত হচ্ছি। তাছাড়া রাস্তা দিয়ে শতশত মুসল্লী যাতায়াত করে, জরুরি ভিত্তিতে দ্রত পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা চালু করতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
হোটেল ম্যানেজার মহসিন জানান, বৃষ্টিতে পানি জমে থাকার কারনে দোকানে ক্রেতা আসতে পারছেন না। হাঁটু পানি মাড়িয়ে অনেকেই প্রবেশ না করে ফিরে যান এতে আমরা ব্যবসায়িরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
সি এন জি চালক মো.রহিম বলেন, এখন জলাবদ্ধতার কারনে যানবাহন চলাচলে ভোগান্তির মধ্যে পড়েছি। ঠিকমত ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করায় সামান্য বৃষ্টির পানিতে কদমতলী সামনের রাস্তা তলিয়ে যাচ্ছে। প্রায়ই ইঞ্জিনে পানি প্রবেশ করে গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে। ফলে যাত্রী চলাচলে নানা বাঁধা বিড়ম্বনা লেগেই থাকে।
জলাবদ্ধতার বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীও ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুর বারেক জানান এ বিষয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আমাকে আশ্বস্থ করেছেন ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাহের আলী জানান ড্রেনমুখ বন্ধ নেই। সব পরিষ্কার করা। ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা সাময়িক। কিছু সময় পর পানি নিষ্কাশন হয়ে যায়।