ঢাকা | ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪ - ১২:৩২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

কেরানীগঞ্জে পানগাঁও বন্দর কাস্টমস হাউজের কমিশনার, যুগ্ন কমিশনারের অপসারণের দাবিতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Wednesday, August 14, 2024 - 2:40 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 19 বার

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি : কেরানীগঞ্জে পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কনটেইনার পোর্টের কাস্টমস হাউজের কমিশনার ডক্টর আবুনূর রাশেদ আহমেদ ও যুগ্ন কমিশনার মোঃ মশিউর রহমানের অপসরণের দাবিতে কর্ম বিরতি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পোর্ট ব্যবহারকারী আমদানি কারক সিএনএফ অ্যাসোসিয়েশন ও পোর্টের শ্রমিকরা।সকাল থেকে পোর্টের অভ্যন্তরে এই লাগাতার কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এই পোর্টের আমদানি কারকরা জানিয়েছেন বর্তমান কমিশনার ও যুগ্ন কমিশনার এই কাস্টমস হাউসে যোগদানের আগে এই পোর্টটি বেশ সচল ছিল। প্রায় পাচ শতাধিক আমদানি কারক এই পোর্টের মাধ্যমে বিদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানি করতেন। তখন আমদানি কারক সিএনএফ ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা বেশ ভালই ছিল। কিন্তু বর্তমান কমিশনার ও যুগ্ন কমিশনার যোগদান করার পর থেকেই তাদের স্বৈরাচারী আচরণের এই পোর্টের অচল অবস্থা দেখা দিয়েছে । তারা নিজেদের ইচ্ছামত আমদানিকৃত পন্যের এইচএস কোড পরিবর্তন করে নিজের ইচ্ছামত ৩০০ গুন বাড়িয়ে আমদানিকারকদের বিরুদ্ধে মামলা দেন এবং জরিমানা করে ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধার করছেন। তারা সরকারি নির্ধারিত মূল্য মানছেন না। অন্যান্য পোর্টে পন্যের মূল্য কেজিপ্রতি ছয় ডলার আর এই পোর্টে পন্যের মূল্য কেজিপ্রতি ২০ ডলার নেয়া হয়। দেশের অন্যান্য পোর্টে মাল আসলে দুই একদিনের মধ্যেই মাল ডেলিভারি দেন। আর এই পোর্টে মাল আসলে ডেলিভারি দিতে এক থেকে দুই তিন মাস সময় লেগে যায়। এতে কন্টেইনার প্রতি ২০/২৫লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়। আবার এই ক্ষতির ঢাকা বাইরের শিপিং এজেন্সিদের হাতে চলে যাচ্ছে। এতে সরকার পোর্ট থেকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া এই দুই কমিশনারের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে অনেক আমদানি কারকের বিনকোড বন্ধ হয়ে গেছে।এসব নানা কারণে অনেক আমদানি কারক এখন পথে বসেছে। আবার অনেকেই বাধ্য হয়ে অন্য পোর্ট ব্যবহার করছেন। এতে আমদানি কারকরা বিদেশ থেকে এই পোর্ট দিয়ে এখন আর কোন পণ্য আমদানি না করায় পোর্টটি অচল হয়ে পড়েছে। এদিকে গত ১৫ মাস যাবত এই পোর্টে কর্মরত শ্রমিকরা কোন বেতন ভাতা না পেয়ে মানবতার ভাবে জীবন যাপন করছেন। অন্যদিকে কমিশনাররা সময় মত অফিসও করেন না। আন্দোলনকারীরা আরো জানিয়েছেন কাস্টমস হাউজের কমিশনার ডক্টর আবু নুর রাশেদ আহমেদ ও যুগ্ন কমিশনার মোঃ মশিউর রহমানের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। কমিশনার ডক্টর আবুনুর রাশেদ আহমেদের সাথে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।