ভূরুঙ্গামারীতে বিএনপির বিরুদ্ধে জলমহল দখলের অভিযোগ
নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃকুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বিএনপির বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে স্বদলবলে জলমহল দখল ও প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মৎস্য উত্তোলন করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার (২১/০৯/২০২৪) উপজেলার আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের মোগলকাটা ছড়া জলমহলে রাত সারে তিনটার দিকে এঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, সারে তিন একরের জলমহলটি ২০২২ সালের এপ্রিলে প্রায় দের লাখ টাকা প্রস্তাবিত মূল্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আহ্বানে জলমহল ব্যবস্থাপনা কমিটি একই ইউনিয়নের বীর ধাউরারকুটি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতিকে ৩ বছর মেয়াদে ইজারা দেয়।
মৎস্যজীবিদের অভিযোগ, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ যুবদল, ছাত্রদল, ও স্বেচ্ছাসেবকদলের প্রায় চল্লিশ জনের একটি বাহিনী জাল নিয়ে এসে মৎস্য উত্তোলন করে জলমহলটি দখলের ঘোষণা দিয়ে যায়।
সমিতির সম্পাদক মৎস্যজীবি নরেন চন্দ্র বিশ্বাস জানান, সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই কয়েক দফায় দলীয় কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে জলমহলে চাষ করা মাছ বিক্রি করতে নিষেধ করেন ও জলমহলটি স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিতে বলেন বিএনপির স্থানীয় নেতারা। সংখ্যালঘু হওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় আছেন বলেও জানান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ইউপি বিএনপির সভাপতি কালাম সরকার, সাধারণ সম্পাদক সামিউল হক খোকা মহুরি, মিজানুর, যুবদলের সভাপতি সাহাদত হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম খোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের মনিরুজ্জামান স্বপন ও ছাত্রদলের সুজনসহ অনেককেই ভোরে জলমহল থেকে মাছ ধরে নিয়ে যেতে দেখেছেন তারা।
এবিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কাজী গোলাম মোস্তাফা হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী বিএনপিতে কোনো দখলবাজ, চাঁদাবাজ, নৈরাজ্যকারীর স্থান নেই। কেউ বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে অপরাধে জড়ালে তাকে ছাড় দেয়া হবেনা। প্রয়োজনে স্বউদ্যোগে সত্য উৎঘাটন করে প্রশাসনের মাধ্যমে অপরাধীর বিচার করাবেন বলে জানান তিনি।
এদিকে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নুরুজ্জামান খানকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি। তবে জেলা মৎস্য অফিসের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ইসমত আরা বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম ফেরদৌস বলেন, অভিযোগ পেলে প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।