কাদের সিদ্দিকীকে নিয়ে বিএনপি নেতার অশালীন, কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
আরিফ রববানী, ময়মনসিংহ : মহান মুক্তিযুদ্ধের জীবন্ত কিংবদন্তি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তমকে নিয়ে টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান সাজুর অশালীন, কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ময়মনসিংহ জেলা কৃষক শ্রমিক জনতালীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সোমবার (৯ডিসেম্বর) সোমবার সন্ধ্যায় ছোট বাজারস্থ মহানগর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এই
সংবাদ সন্মেলনে বক্তব্য রাখেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ড.পরেশ চন্দ্র মোদক, ময়মনসিংহ জেলার সাবেক আহ্বায়ক যুব আন্দোলন দীপক দে ও সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর রহমান।
সংবাদ সন্মেলনে নেতৃবৃন্দ কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের কঠোর ভাষায় নিন্দা জানিয়ে ভবিষ্যতে এ ধরনের অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য-গত ৭ ডিসেম্বর শনিবার রাত সাড়ে ১০টায়
পৌর শহরের তালতলা চত্বরে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের আয়োজিত সমাবেশে বক্তৃতায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান সাজু কাদের সিদ্দিকীর নাম উল্লেখ করে তাকে নিয়ে কড়া সমালোচনা করে বলেন, কাদের সিদ্দিকী বিশ্বাসঘাতক ও মীরজাফর, এটা বাংলার মানুষ আগে বুঝতে পারেনি। এটা প্রথমে বুঝতে পেরেছিলেন শেখ হাসিনা। তাই তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিলেন। তাকে বাংলাদেশে আসতে দেননি। পরে জিয়াউর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তাকে (কাদের সিদ্দিকী) দেশে আসার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। শাজাহান সাজু আরও বলেন, ৭ জানুয়ারি যে জাতীয় নির্বাচন হয়েছিল, সেই নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনার কাছ থেকে কাদের সিদ্দিকী ঢাকা-টাঙ্গাইলের বাড়ি এবং ১০০ কোটি টাকারও বেশি সুদ-ব্যাংক ঋণ মওকুফ করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। জাতির সঙ্গে মুনাফেকি করেছিলেন। তার আর বাংলাদেশের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।এসময় সাজু বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে ক্ষমা না চাইলে তাকে সখীপুরে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারিও করে দেন।
সংবাদ সম্মেলনে মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন বীরযোদ্ধাকে নিয়ে বিএনপি নেতার এমন মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন ময়মনসিংহ জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের প্রতি খুব দ্রুত এমন শিষ্টাচার বহির্ভূত নেতাকে দলীয় শাস্তির আওতায় আনার দাবী জানান।