জয়পুরহাটে বাস-ট্রেন দূর্ঘটনার ১২ জনের মধ্যে ৭ জনের পরিচয় চিহ্নিত
সুলতান মাহমুদ, জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ ১৯ ডিসেম্বর, ২০ইং, জয়পুরহাটে বাস-ট্রেন সংঘর্ষে বাসের ১২ নিহত, ৫ আহত যাত্রী হয়েছেন। শনিবার সকাল ৭টার দিকে সদরের পুরানাপৈল রেলগেটে গেট না নামানো কারণে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে নেওয়ার পর গুরুত্বর আহত ৫জনকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এদিকে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। জেলা প্রশাসক পক্ষে থেকে নিহতদের দাফন-কাফনের ব্যবস্থা ও আহতদের চিকিৎসার সহযোগিতা করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসা উত্তরা ট্রেনটি রাজশাহীতে যাচ্ছিল। অপরদিকে জয়পুরহাট থেকে হিলি যাওয়ার পথে পুরানাপৈল রেলগেটে লাইনের উপর বাসটি ওঠা মাত্রই ট্রেনটির সাথে মুখোমুখি ধাক্কায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে নেয়ার পথে ১২ জনের মৃত্যু হয়। আহত ৬জনকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে নেওয়ার পর গুরুত্বর আহত ৫জনকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। পরে গাড়ী হেলপারের মৃত্যু হয়। হেলপারের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
নিহত ৭জনের পরিচয় পাওয়া গেছে, তারা হলেন জেলার পাঁচবিবির আটুল গ্রামের আলতাব হোসেনের দুই ছেলে বাবু (৩০), রাব্বি (১৮), শহরের চিত্রাপাড়ার মৃত মোন্ডা আলীর ছেলে রেজাউল করিম (৬০), সদরের হিসমী দক্ষিনপাড়ার মৃত মানিক হোসেনের ছেলে রমজান (৩৬), কুঠিবাড়ীর শরিফুল ইসলামের ছেলে আঃ লতিফ (২৯), আক্কেলপুরের চকবিলা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে সাজু (২৬), নওগাঁর রানীগগরের বিজয়কান্ডির গ্রামের গোড়া মিয়ার ছেলে বাবুল (৫৫)।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবির-পিপিএম বলেন, এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ফায়ার সার্ভিস ও সংশ্লিষ্টরা উদ্ধার কাজ করছে। রেলওয়ের জিআরপি পুলিশকে অবগত করা হয়েছে। তারাও ঘটনাস্থলে এসেছে। তারা প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।
জিআরপি সৈয়দপুরের এসআরপি সিদ্দিকী তানজিরুল রহমান বলেন, এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে এসেছি, উদ্ধার কাজ চলছে। জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টরা তদন্ত কমিটি করেছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক মোঃ শরীফুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত ১২টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়টি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। রেলওয়ের জিআরপি পুলিশকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ, প্রশাসন এবং ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, রেল ক্রসিং গেট না নামানোর কারণে এ মর্মান্তিক দূর্ঘটনাটি ঘটতে পারে জানান তারা।